রেটিং চার্ট বলছে, একের পর এক মোচড়ও ধারাবাহিককে হারানো গৌরব ফিরিয়ে দিতে পারছে না।
জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের খলনায়ক ওমি আগরওয়াল। তার একটাই লক্ষ্য, মোদক পরিবারের মুখ থেকে হাসি কেড়ে নিতে হবে। যার জেরেই শ্রীনিপা-রুদ্রর সাতপাকের অনুষ্ঠান মিটতেই সে গুলি চালায় সিদ্ধার্থ মোদকের উপরে। কিন্তু ওমিকে আচমকাই দেখে ফেলে মিঠাই। নিজে গুলি খেয়ে প্রাণ বাঁচায় ‘উচ্ছেবাবু’র। সেই প্রচার ঝলক বেরোতেই টেলিপাড়ায় জোর চর্চা, নায়িকা গুলি খেয়েছে। এ বারেই শেষ হতে চলেছে ৫৪ বার ‘বাংলা সেরা’ তকমা পাওয়া জি বাংলার এই ধারাবাহিক। সম্ভাব্য তারিখ নাকি ২৮ অগস্ট।
কী বলছেন ধারাবাহিকের পরিচালক রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তাঁর সাফ জবাব, ‘‘গুঞ্জন বলে দিচ্ছে, প্রচার ঝলক দেখে দর্শক দিশেহারা। ‘মিঠাই’-এর অনুরাগী সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাঁরা সারা ক্ষণই চোখে হারাচ্ছেন ধারাবাহিকটিকে। ভয় পাচ্ছেন, এ বারই বোধহয় শেষ হতে চলল। এঁদেরই ধারণা, নায়িকা গুলি খেয়েছে মানেই তার মৃত্যু। ধারাবাহিকও শেষ। আসলে তা নয়।’’ মিঠাই বাঁচবে না মরবে? এই রহস্যই আপাতত ধারাবাহিকের তুরুপের তাস।
রেটিং চার্ট বলছে, একের পর এক মোচড়ও ধারাবাহিককে হারানো গৌরব ফিরিয়ে দিতে পারছে না। ‘মিঠাই’ কি ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে? রাজেনের যুক্তি, আসলে ধারাবাহিকটি থেকে দর্শকদের এতই প্রত্যাশা যে সব সময় তারা ‘মিঠাই’কে সেরা দেখতে চাইছেন। তাঁর মতে, এটা কখনওই সম্ভব নয়। অন্য ধারাবাহিক ভাল ফল করলে রেটিং চার্টে এগিয়ে আসবে। এটাই নিয়ম। সেটাই হচ্ছে। দর্শকদের এই প্রত্যাশাই টিম ‘মিঠাই’য়ের এগিয়ে চলার এনার্জি টনিক। পাশাপাশি, একাধিক অভিনেতা ‘মিঠাই’ ছেড়ে ধারাবাহিক ‘পিলু’-তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন। ধারাবাহিকের সাময়িক পিছিয়ে পড়াই কি এর কারণ?
রাজেনের কথায়, ‘‘নায়ক, নায়িকা আর হাতেগোনা কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা ছাড়া বাকিরা একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেই থাকেন। বাকি ধারাবাহিকেও সেটাই দেখা যায়। আমাদের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটছে। কোনও অস্বাভাবিক কিছুই ঘটছে না।’’ পরিচালকের মতে, ‘মিঠাই’, ‘পিলু’ দুটোই তাঁর ধারাবাহিক। তাই বিষয়টি দর্শকদের নজরে আরও বেশি করে পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy