এ নিয়ে তৃতীয় বার জেরার মুখে পড়লেন জ্যাকলিন।
প্রায় আট ঘণ্টা জেরার পর বুধবার জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এবং পিঙ্কি ইরানির দেওয়া বিবৃতিতে অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। ২০০ কোটি টাকা তোলাবাজির মামলায় উভয়কেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দিল্লির অপরাধ দমন শাখা। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়ানোতেই বার বার ডেকে পাঠানো হতে পারে জ্যাকলিনকে, এমনই জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।
এ নিয়ে তৃতীয় বার জেরার মুখে পড়লেন জ্যাকলিন। টানা আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে আপাতত ছেড়েছে পুলিশ। এর আগে গোলমাল দেখা দিয়েছিল অভিনেত্রী আর পিঙ্কির বয়ানে। এই পিঙ্কিই নাকি কোটি টাকার বিনিময়ে সুকেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন জ্যাকলিনের।
প্রথম দফায় আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল জ্যাকলিন এবং পিঙ্কিকে। কিন্তু তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় এ বার তাঁদের একসঙ্গে তলব করা হয়েছিল। তদন্তের সুবিধার্থে দু’জনকে একইসঙ্গে জেরা করা হয়।
এই মাসের শুরুর দিকে, আর এক বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফতেহিকে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। তাঁরও বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। জ্যাকলিনের মতো নোরাও সুকেশের থেকে মূল্যবান সামগ্রী উপহার পেয়েছিলেন বলে জানা যায়।
কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত সুকেশ অবশ্য বর্তমানে দিল্লির জেলে বন্দি রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১০টিরও বেশি অপরাধের মামলা রয়েছে। ইডির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, প্রায় ৫.৭১ কোটি টাকার যে উপহার সুকেশ চন্দ্রশেখর অভিনেত্রীকে দেন, তা পুরোটাই বেআইনি টাকায় কিনেছিলেন অভিযুক্ত। ইডির দায়ের করা চার্জশিটটি বিবেচনা করে জ্যাকলিনকে অভিযুক্ত হিসাবে সাব্যস্ত করেছে দিল্লির পটিয়ালা হাউস কোর্ট।
জ্যাকলিন ষড়যন্ত্রের শিকার ও তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী।এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন বলিপাড়ার আরও এক অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। সুকেশের অপরাধের ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানতেন না বলে দাবি করেছেন নোরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy