দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা তলব করায় সম্প্রতি হাজিরা দিতে যেতে হয়েছিল জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের স্টাইলিস্ট লেপক্ষী এলাওয়াদিকেও।
২০০ কোটি টাকা তোলাবাজির মামলায় ডাক পড়েছিল লেপক্ষী এলাওয়াদিরও। অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের স্টাইলিস্ট ছিলেন তিনি। দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা তলব করায় তাঁকেও হাজিরা দিতে যেতে হয়েছিল সম্প্রতি। সেখানে আবারও ফাঁস হল নতুন তথ্য। সুকেশ চন্দ্রশেখর নাকি তিন কোটি টাকা দিয়েছিলেন তাঁকেও।
মূলত জ্যাকলিনের সঙ্গে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সুকেশের সমীকরণ জানতেই জেরা করা হচ্ছিল লেপক্ষীকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর এক পুলিশ আধিকারিক জানান, জ্যাকলিনের পছন্দের ব্র্যান্ড এবং পোশাকের ধরন সম্পর্কে জানতে গত বছর লেপক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সুকেশ। তাঁর পরামর্শ নিয়ে সব জেনেবুঝে তিন কোটি টাকা লেপক্ষীর অ্যাকাউন্টে পাঠান সুকেশ। সেই পুরো অর্থই জ্যাকলিনের পোশাক কিনতে খরচ করেছিলেন লেপক্ষী। তবে সুকেশ গ্রেফতার হওয়ার পরই লেপক্ষীর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন জ্যাকলিন।
গত মাসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি যখন জ্যাকলিনের বিরুদ্ধেও মামলায় চার্জশিট দাখিল করে, তখন অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ইডির তদন্ত পদ্ধতি ‘কৃত্রিম’ এবং ‘অন্যের মদতপুষ্ট’ বলে পিএমএলএ-এর আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন করেছিলেন তিনি।
যদিও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, জ্যাকলিনের ‘স্বপ্নের পুরুষ’ ছিলেন সুকেশ! ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় তদন্তে নেমে এমন কথাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ‘কনম্যান’ সুকেশকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন বি-টাউনের এই মোহময়ী নায়িকা।
আর্থিক তছরুপ মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন জ্যাকলিন। দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখার স্পেশ্যাল কমিশনার রবীন্দ্র যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন যে, প্রচুর ধনদৌলত থাকায় বলিউডের অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন সুকেশ। এই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন জ্যাকলিনও। সুকেশের কথায় নায়িকা এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাঁকে বিশ্বাসও করতে শুরু করেন। সেই সূত্রেই সুকেশকে ‘কাছের মানুষ’ ভাবেন জ্যাকলিন। তাঁকে বিয়ে করার কথাও ভাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy