(বাঁ দিকে) শিখর পাহাড়িয়া, জাহ্নবী কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ দিন ধরে চেনা-জানা দু’জনের। তবে জাহ্নবী কপূ্রের বলি অভিষেকের সময় খানিক আলাদা হয়ে গিয়েছিল তাঁদের বাঁধন। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর ফের প্রাক্তন প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়ার কাছাকাছি আসেন তিনি। একটা সময় আড়ালে-আবডালে লুকিয়ে চলছিল প্রেম। তবে গত বছরের শুরু থেকে যেন সাহসী হয়ে উঠেছেন জাহ্নবী।
তিরুপতির মন্দির দর্শন হোক কিংবা মণীশ মলহোত্রের বাড়ির দীপাবলির পার্টি— সর্বত্র একসঙ্গে তাঁরা। সম্প্রতি শিখরের নামাঙ্কিত হার গলায় পরে সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছেন খোদ জাহ্নবী। তবে প্রেমিককে নিয়ে নাকি বড্ড স্পর্শকাতর তিনি! হয়েছেন সন্দেহবাতিক। নিজেকে ‘রেডফ্ল্যাগ’ বলতে কুণ্ঠাবোধ করেননি জাহ্নবী। প্রেমিক শিখরের সঙ্গে কী এমন করেন শ্রীদেবী-কন্যা?
এই মুহূর্তে ‘মিস্টার এন্ড মিসেস মাহি’ ছবির প্রচারে ব্যস্ত জাহ্নবী। এক সাংবাদিক সম্মলেন তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার প্রেমিকের ফোনে নিয়মিত নজর রাখি। কার সঙ্গে কথা বলছে, কী করছে, সব। জানি এগুলি করা ঠিক নয়, তবু আমি করি।’’ তবে প্রেমিকের কি প্রেমিকার ফোন ঘাঁটা উচিত? সেই প্রসঙ্গে জাহ্নবী বলেন, ‘‘ কেন ঘাঁটবে? আমার উপর ওর বিশ্বাস নেই নাকি।’’
শ্রীদেবী প্রয়াত হওয়ার পর থেকেই জাহ্নবীর পাশে ছিলেন শিখর। জাহ্নবী জানান, জীবনে দু’জন মানুষ তাঁর পাশে সব সময়ে থেকেছেন। স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করেছেন। এই প্রসঙ্গে মা শ্রীদেবী ও বাবা বনি কপূরের নাম উল্লেখ করেন তিনি। আর তার পরেই শিখর পাহাড়িয়ার নাম নেন অভিনেত্রী।
শিখর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জাহ্নবী। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমার যখন ১৫-১৬ বছর বয়স, তখন থেকে ও আমার সঙ্গে আছে। আমার স্বপ্নগুলি ও নিজের করে নিয়েছে। ওর স্বপ্নগুলিও আমি আমার নিজের স্বপ্ন করে তুলেছি। আমরা পরস্পরের খুব কাছের। আমরা সব সময়ে পরস্পরের পাশে এমন ভাবে থেকেছি, যেন আমরাই পরস্পরকে বড় করে তুলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy