তাঁর অভিনয়ের গভীরতায় বুঁদ হয়ে যান দর্শক। সৌন্দর্যের নিরিখেও সমসাময়িক অনেক অভিনেত্রীর চেয়ে এগিয়ে তিনি। জয়া আহসান। দুই বাংলায় জনপ্রিয়তার শিখরে থাকা এই অভিনেত্রীর ব্যক্তিজীবন নিয়েও কৌতূহলী তাঁর অনুরাগীরা। যদিও ব্যক্তিগত দুঃখ-কষ্ট নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে অভ্যস্ত নন, তবু কবিতায় যেন নিজের জীবনযু্দ্ধের অজানা গল্পই বলে দিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের নাটক দিয়ে টেলিভিশনে যাত্রা শুরু তাঁর। তার পর দীর্ঘ পথ পেরিয়েছেন। মাঝে জীবনে ওঠাপড়া দেখেছেন বিস্তর। ১৩ বছরের দাম্পত্যজীবনে ভাঙন। তার পর থেকেই যেন ‘একলা চলো রে’ নীতিতে বিশ্বাসী জয়া। এই মুহূর্তে হাতে তাঁর প্রচুর কাজ। বাংলাদেশের ‘তাণ্ডব’ ছবিতে যেমন প্রশংসিত হয়েছেন, তেমনই এ পার বাংলার ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’তেও সমাদৃত তাঁর অভিনয়। তবে কোনও সাফল্যই যে এক দিনে আসেনি সেটাই জানালেন অভিনেত্রী।
জাহিদ হাসান নামক এক ব্যক্তির লেখা ধার করে জয়া লেখেন, ‘‘জীবনের কোনও সফলতাই শাপলা ফুলের মতো নয় যে, পুকুরের উপর ভেসে থাকবে আর তুমি গিয়ে ছিঁড়ে আনবে। জীবনের সফলতা শোল মাছ ধরার মতো... ডুব দিয়ে কাদার ভিতর থেকে ওঠাতে হয়।’’
জয়া কখনও ঢাকাই শাড়ি পরে ছবি তুলে বিতর্কে জড়িয়েছেন। আবার কখনও এ পার বাংলায় বেশি থাকা নিয়ে টিপ্পনী শুনতে হয়েছে। কিন্তু তিনি সব সময় জানিয়েছেন, জীবনে খুশি থাকাটাই তাঁর কাছে অগ্রাধিকার। তাই বাড়ির লোকজন, বাগান ও পোষ্যকে নিয়ে অবসর কাটান বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।