ঈশা
এত বছর পরেও ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে ‘খল্লাস গার্ল’ হিসেবে মনে রেখেছে। সংসার, কন্যা সামলে দীর্ঘ বিরতির পরে পর্দায় ফিরেছেন ঈশা কোপিকর। ওয়েব সিরিজ় ‘ফিক্সার’-এ পুলিশের চরিত্রে। ওই চরিত্রের জন্য গালিগালাজও তো করতে হয়েছে। অসুবিধে হয়নি? ‘‘ওটা তো পার্ট অব দেয়ার জব। আমার মনে কোনও দ্বিধা ছিল না,’’ সোজাসাপটা জবাব অভিনেত্রীর।
লাইমলাইট থেকে দূরে থাকা কতটা কঠিন ছিল? প্রশ্নের জবাবে ঈশা প্রথমেই তাঁর কৃতজ্ঞতা জানালেন। ‘‘এত বছর ধরে ‘খল্লাস’-এর খেতাব ধরে রেখেছি। সেটা তো কম অ্যাচিভমেন্ট নয়।’’ ভবিষ্যতে যদি ওই গানের রিমেক হয়, সেখানেও পারফর্ম করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। পাশাপাশি এটাও বললেন, ‘‘রিয়ানার (মেয়ে) যখন তিন মাস বয়স, তখন থেকেই কাজ শুরু করেছি। চেহারা ভারী হলে দক্ষিণে অসুবিধে হয় না। তাই ওখানে কিছু ছবি করলাম। এ ছাড়া হসপিটালিটির ব্যবসা শুরু করেছি। পরিবার ও কাজের মধ্যে একটা ব্যালান্স রাখা উচিত। কোনও দিনই তাড়া ছিল না। বিয়ের সময়ে বিয়ে করেছি। মেয়ের পাঁচ বছর বয়স অবধি সময় দিয়েছি। এখন কাজে ফিরতে চাই,’’ বললেন ঈশা।
ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও পরিবর্তন দেখলেন? ‘‘এখন কাজের সুযোগ অনেক বেড়েছে। নতুন বিষয়ে সিরিজ় হচ্ছে। আর যত দিনের বিরতিই নিই, ট্যালেন্ট কেউ কারও কেড়ে নিতে পারে না। শুধু অভিনেত্রী হিসেবে নয়, আমি সব দিক থেকেই জীবনে সফল হতে চাই,’’ বললেন পাঁচ বছরের কন্যার মা।
ঈশার কেরিয়ারে নতুন পালক, রাজনীতি। মোদী সরকারের প্রশংসা করে বললেন, ‘‘মোদীজিকে ভুল বোঝা হয়। ওঁর দৃষ্টিভঙ্গি সুদূরপ্রসারী। তবে আমি কোনও স্বার্থ চরিতার্থ করতে রাজনীতিতে আসিনি। দশ বছর বয়স থেকে সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। মানবিকতার খাতিরে, জাস্টিসের জন্যেই রাজনীতিতে এসেছি,’’ মত অভিনেত্রীর।
মেয়ে নাকি তাঁর স্বভাবই পেয়েছে। তা নিয়ে মায়ের চিন্তাও রয়েছে। ‘‘আমার মেয়ে আমার মতোই হেডস্ট্রং। মেয়ে হওয়ার পরে একটা জিনিস বুঝেছি, ছোটদের কিছু শেখাতে হলে নিজেদেরও সেটা করে দেখাতে হয়।’’ তবে মেয়েকে শাসন করতে গিয়ে ‘হ্যাঁ’ এর চেয়ে বেশি ‘না’-ই বলেন, হাসতে হাসতে সে কথা কবুল করলেন ঈশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy