মূক ও বধির এক ছোট্ট মেয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে হারিয়ে গিয়েছিল। কী ভাবে সে ফিরে যাবে পরিজনেদের কাছে, তা নিয়েই ২০১৫ সালে তৈরি হয়েছিল বলিউডের ছবি ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। এক ধর্মপ্রাণ ভারতীয় হিন্দু যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সলমন খান। সেখানে কথায় কথায় ‘জয় বজরঙ্গবলী’ বলে ধ্বনি তুলেছেন সলমন খান। ছবিতে বজরঙ্গবলীর পুজো যেমন করেছেন তেমন দরগায় গিয়েছিলেন ছোট্ট মেয়েটির খাতিরে। সেই অর্থে এই ছবি সেই সময় প্রায় দু’দেশের সম্প্রীতির ছবি হয়ে ওঠে। যদিও এই ছবি মুক্তি পাওয়াতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয় পরিচালক কবীর খানকে।
আরও পড়ুন:
ছবিতে একটি দৃশ্যে পাকিস্তানের বাসিন্দা ওম পুরী সলমন খানকে গন্তব্যে পৌঁছে বিদায় জানাচ্ছেন। সেই সময় ওম পুরী সলমনকে ‘খুদা হাফিজ়’ জানাতে খানিক সঙ্কোচ বোধ করেন। সেই সময় বলেন, ‘‘আপনাদের দেশে কী যেন বলে, জয় শ্রী রাম।’’ এই বলে বিদায় নেন।
এই দৃশ্যে কাঁচি চালানোর প্রস্তাব দেয় সেন্সর বোর্ড। তাঁদের যুক্তি ছিল। একজন মুসলিমের কণ্ঠে জয় শ্রী রাম সেই সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। সেই প্রসঙ্গে কবীর বলেন, ‘‘আমি সেন্সর বোর্ডের জুরিকে জিজ্ঞেস করলাম আমার নাম কী বলুন, কই আমার খারাপ লাগছে না তো। আর জয় শ্রী রাম ধ্বনি কিন্তু রাজনৈতিক ধ্বনি নয়, পুরনো দিল্লিতে যাঁরা বড় হয়েছেন, তাঁরা জানেন সুপ্রভাত কিংবা শুভরাত্রি বলে অভিবাদন জানানোর জায়গা একে অপরকে জয় শ্রী রাম বলা হয়।’’
কবীর জানান, সেন্সর বোর্ডের যুক্তিতে ভুলে যাননি বরং নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন।