একত্রবাসের বিপক্ষে কঙ্গনা রনৌত। কিছু দিন আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল আধ্যাত্মিক গুরু অনিরুদ্ধাচার্যের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। স্বঘোষিত ধর্মগুরু বলেছিলেন, আজকালকার পুরুষেরা ২৫ বছরের আশপাশের মহিলাদের সঙ্গী হিসাবে খুঁজে বার করেন। কিন্তু এই মহিলারা তত দিনে চার-পাঁচ জনের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেন। এই মন্তব্যে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন দিশা পটানির দিদি খুশবু পটানি। অনিরুদ্ধাচার্যকে ‘দেশদ্রোহী’, ‘নারীবিদ্বেষী’ ও ‘নপুংসক’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন খুশবু। এই বিতর্কে এ বার ঘৃতাহুতি দিলেন কঙ্গনা।
কঙ্গনা মনে করেন, বিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ পুরুষেরা নারীদের অন্তঃসত্ত্বা করে ফেলতে সক্ষম। তিনি বলেছেন, “আদালত এখন বলে, বিয়ের মতোই একত্রবাসও ভাল। আদালত তো বলেই দিয়েছে, মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মানে তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে। সব আইন তো মহিলাদেরই পক্ষে।” তবে সম্পর্কে থাকা মহিলাদের জন্য খুব একটা ভাল নয় বলে মনে করেন কঙ্গনা।
আরও পড়ুন:
খুশবু পটানির প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেছেন, “আপনি সাধুসন্তদের গালাগাল করছেন! কিন্তু বড় দিদির মতো একটা কথা বলতে পারি, একত্রবাস মহিলাদের জন্য মোটেই ভাল নয়।” একত্রবাসে থাকা মহিলাদের উদ্দেশে কঙ্গনা বলেন, “গর্ভপাত করাতে আপনাকে কে সাহায্য করবে? একত্রবাসের সময়ে যদি আপনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন, তা হলে আপনার দেখাশোনাই বা কে করবেন। পুরুষেরা শিকারি। ওরা মহিলাদের অন্তঃসত্ত্বা করে পালিয়ে যেতে পারে। আমরা, মহিলারা এখন যতই শক্তিশালী বা প্রগতিশীল হই না কেন, বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই বলছি, পুরুষেরা আলাদা হয়ে যেতে পারে। মহিলারা পারে না।”
কঙ্গনা এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “লোকে বলে পুরুষেরা মঙ্গলের জাতক আর মহিলারা শুক্রের। আমরা আধুনিক হতে পারি, কিন্তু সমীক্ষা থেকে একটা বিষয় দেখা গিয়েছে। পুরুষদের কেমন মহিলা পছন্দ একাধিক বার জিজ্ঞাসা করলে, ভিন্ন ভিন্ন উত্তর পাওয়া যায়। কিন্তু মহিলাদের প্রশ্ন করলে সেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই উত্তর পাবেন।”