হিন্দি ভাষায় অল্লুর ছবি প্রেক্ষাগৃহে আসুক, তা চাননি কার্তিক।
প্রেক্ষাগৃহে ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলু’ হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেলে রিমেক থেকে সরে দাঁড়াবেন। প্রযোজকদের নাকি এমন ‘হুমকি’ই দিয়েছিলেন কার্তিক আরিয়ান।
২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অল্লু অর্জুনের এই সফল তেলুগু ছবির হিন্দি পুনর্নির্মাণ হচ্ছে। নাম ‘শেহজাদা’। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন কার্তিক এবং কৃতী স্যানন। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। অন্য দিকে, ২৬ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি ডাবিংয়ে আসতে চলেছিল ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলু’। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বেঁকে বসেন কার্তিক। জানিয়ে দেন, তেলুগু ছবিটি হিন্দি ডাবিংয়ে বড় পর্দায় এলে ‘শেহজাদা’ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।
‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলু’-র হিন্দি সংস্করণের স্বত্ব কিনেছিল গোল্ডমাইন টেলিফিল্মস। হিন্দিতে ছবিটির মুক্তি আটকাতে সংস্থার ডিরেক্টর মণীশ শাহের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন অল্লু অর্জুনের বাবা অল্লু অরবিন্দ। যিনি তেলুগু ছবিটির সঙ্গেই হিন্দি রিমেকেরও প্রযোজক। অবশেষে প্রযোজকের অনুরোধ মেনে নেন মণীশ।
এর পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে মণীশ বলেন, “কার্তিক ভীষণই অপেশাদার। ‘শেহজাদা’-র নির্মাতারা তেলুগু ছবিটি হিন্দিতে বড় পর্দায় আনতে রাজি ছিলেন না। কার্তিকও বলেছিল হিন্দি ডাবিংয়ে ছবিটি মুক্তি পেলে ও রিমেক থেকে সরে দাঁড়াবে। ও সেটা করলে ‘শেহজাদা’-র নির্মাতাদের প্রায় ৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হত। খুবই অপেশাদার আচরণ করেছে ও।”
অল্লু অরবিন্দের সঙ্গে ‘শেহজাদা’-র প্রযোজনা করছেন ভূষণ কুমার এবং অমন গিল। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক মণীশের। তাঁর কথায়, “আমি দশ বছর ধরে ‘শেহজাদা’র প্রযোজকদের চিনি। আমার এত কাছের মানুষদের ৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হোক, তা চাইব না। আমি এই ছবিটির পিছনে ২০ কোটি টাকা খরচ করেছি। শুধু ডাবিংয়ের জন্যই ২ কোটি টাকা লেগেছে।”
প্রেক্ষাগৃহের বদলে একটি চ্যানেলে দেখা যাবে ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলু’-র হিন্দি সংস্করণ। মণীশের কথায়, “ছবিটি মুক্তি না পেলে আমি টাকা হারাব। তাই চ্যানেলে ছবিটিকে আনছি। কিন্তু আমি এটা করছি অল্লু অরবিন্দের জন্য। কার্তিক আরিয়ানের জন্য এ সব কেন করব? ও একজন বলিউড নায়ক। ওকে আমি চিনিও না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy