প্রতিদিনের রোজনামচায় লুকিয়ে রয়েছে সুর ও তাল। গাড়ির হর্ন থেকে পাখির ডাক, অথবা চায়ের দোকান থেকে গরম তেলে ভাজাভুজির শব্দ— সব কিছুরই রয়েছে নিজস্ব ছন্দ। সেই ছন্দের সঙ্গে বাদ্যযন্ত্রের সুর মিলে যাবে ‘কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ আর্টস ফেস্টিভাল’-এর মঞ্চে। ২১ জুন আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবস। ভৌগোলিক ভাবে দেশ-বিদেশের মধ্যে সীমান্তরেখা টানা থাকলেও সাত সুরে সবাই সম্মিলিত। সেই চিত্রই উঠে আসবে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারের মঞ্চে।
উইলিয়াম শেক্সপিয়রের নাটকের ৪০টি চরিত্রকে মঞ্চে তুলে ধরা হবে। কিন্তু কী ভাবে এক মঞ্চে শেক্সপিয়রের নাটকের ৪০টি চরিত্র? মিউজ়িকাল-এর চিত্রনাট্য কল্পবিজ্ঞানের উপর ভর করে তৈরি। চিত্রনাট্যে একদল বিজ্ঞানী ‘টাইম ট্রাভেল’ নিয়ে কাজের উদ্যোগী হন। কিন্তু তাঁরা একটি ভুল করে ফেলেন, যার ফলে একই জায়গায় চলে আসে শেক্সপিয়রের একাধিক নাটকের চরিত্রেরা।
অনুষ্ঠানের কিছুটা সরাসরি মঞ্চস্থ করা হবে। কিছুটা আগে থেকেই শুটিং করা, যা মঞ্চের পর্দায় তুলে ধরা হবে। অনুষ্ঠানের ভাবনা নিয়ে শিল্পী রাজীব চক্রবর্তী বলেন, “দেড় বছর আগে থেকে এই ভাবনা আমাদের। ৪০টি চরিত্র এক জায়গায় এলে কী হতে পারে, সেগুলি তুলে ধরা হবে। এই চরিত্রগুলিতে অভিনয় করার জন্য আমরা কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করি। স্কুলের বাচ্চাদের নিয়েই কাজটা করতে চেয়েছিলাম। স্কুলগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই স্থির করা হয়, ২১ জুন অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবসে এই অনুষ্ঠান করা হবে।”
সঙ্গীত দিবসে অনুষ্ঠান। তাই নাটকের সঙ্গে সঙ্গীত নিয়েও নতুন করে ভাবনা শুরু হয়। মিউজ়িক্যাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জানালেন রাজীব। এই অনুষ্ঠানে ইংল্যান্ডের ‘মিলাপ’ ও ‘তরঙ্গ’ নামে দুটি দলের শিল্পীরা যোগ দেবেন। তাঁদের যন্ত্রানুসঙ্গীতের রেকর্ডেড সংস্করণ প্রদর্শিত হবে মঞ্চের পর্দায়। এমনকি, এ আর রহমানের ‘সানশাইন অর্কেস্ট্রা’ও শোনা যাবে। মঞ্চে থাকবেন কলকাতার ৭০ জন শিল্পী। পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য— দুই সঙ্গীতের মেলবন্ধনে গাঁথা রয়েছে এই নাটক। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধেও রয়েছে চমক।