লতার ছবি দিলেন আশা।
দিদি নেই। বলিউড চর্চিত কোনও বিবাদ, রেষারেষিও আর নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো কবেই ফুরিয়েছে। এত কিছুর মধ্যেও ভালবাসার চোরা স্রোত ছিলই বোন এবং দিদির মনে। সেই স্মৃতি আঁকড়েই লতা মঙ্গেশকরের অভাব মোছার চেষ্টায় আশা ভোঁসলে। লতার শেষকৃত্যের পরেই আশা ভাগ করে নিয়েছেন এক দম ছেলেবেলার একটি ছবি। তখনও তাঁরা ভীষণ ছোট! এক পাশে লতা বসে। খোলা এক ঢাল চুল আটকানো ফুলের মতো ক্লিপে। পাশে, উঁচু টেবিলে দিদির গা ঘেঁষে বসে আশা। দিদি যেন তখনও বোনকে সামলাচ্ছে!
কখনও রেষারেষি কখনও গলা জড়িয়ে ভাব— এই ছিল লতা মঙ্গেশকর-আশা ভোঁসলের সম্পর্ক। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে লতা-আশার নাম দেশজুড়ে উচ্চারিত। তাঁদের অদৃশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা চর্চার বিষয় ছিল। ৮৮ বছরের গায়িকা আর সে সব মনে রাখতে চান না। তাই ছোটবেলার ছবি দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ছেলেবেলার ‘দিনগুলো কত সুন্দর ছিল! আমি আর দিদি।’ আশার অনুরাগীরা ছবির নীচে মন্তব্য বিভাগে এঁকে দিয়েছেন তাঁদের শ্রদ্ধা, ভালবাসার চিহ্ন। তালিকায় হৃতিক রোশন, এ আর রহমান।
ছোট থেকেই লতা ছিলেন তাঁর বাকি চার ভাই-বোনের মাতৃসমা। তাঁদের আগলেছেন। দরকারে শাসনও করেছেন। তবে মাত্র ১৬ বছরে গণপতরাও ভোঁসলের সঙ্গে আশার বিয়ে একেবারেই মেনে নিতে পারেননি কিংবদন্তি গায়িকা। তিনি একান্ত সাক্ষাৎকারে সে কথা স্বীকারও করেছিলেন, ‘‘অতীতে আমাদের মধ্যে ব্যক্তিগত কারণে কিছু দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। আশা অল্প বয়সে এমন কিছু কাজ করেছিল যা আমি মন থেকে মেনে নিতে পারিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy