জ়ুবিন গার্গের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন তাঁর অনুরাগীরা। স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল জ়ুবিনের শেষ ইচ্ছা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই তিনি জানিয়েছিলেন, জলেই যেন তাঁকে শেষ বিদায় জানানো হয়।
গুয়াহাটিতে ‘মহাবহু ব্রহ্মপুত্র রিভার হেরিটেজ সেন্টার’ নামের এক মিউজ়িয়াম ছিল জ়ুবিনের বিশেষ পছন্দের জায়গা। এই জায়গাটি তিল্লা নামে পরিচিত। এক সাক্ষাৎকারে গায়ক বলেছিলেন, “এই জায়গাটা খুব সুন্দর। পৃথিবীর সেরা জায়গাগুলির মধ্যে এটা একটা। আমি এখানেই থাকতে চাই এবং এখানেই মরতে চাই।”
ব্রহ্মপুত্র নদেই যেন তাঁর মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এই ইচ্ছার কথাও জানিয়েছিলেন জ়ুবিন। তিনি বলেছিলেন, “তিল্লা-তেই যেন আমার সৎকার হয়। অথবা আমাকে যেন ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। আমি একজন সৈনিক। আমি র্যাম্বোর মতো।”
আরও পড়ুন:
গানের অনুষ্ঠান করতেই সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জ়ুবিন। বৃহস্পতিবার রাতে পার্টি করে পরের দিন সকালে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট ছিল না, সেই প্রশ্ন উঠছে। লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে না থাকার কারণেই তিনি ডুবে যান বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
গত শুক্রবার সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মৃত্যু হয় গায়কের। রবিবার সেখান থেকে কফিনবন্দি হয়ে গুয়াহাটি ফেরেন তিনি। জ়ুবিনের স্ত্রী গরিমা রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রয়াত স্বামীর দেহ আনতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। গায়কের দেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর কাহিলিপারার বাসভবনে। সদ্যপ্রয়াত গায়ক-পুত্রের ৮৫ বছরের বাবা এবং গায়কের পরিবার থাকেন সেখানে। পরে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় অর্জুন ভোগেশ্বর বরুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে।