ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিয়ো করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করতে বৃহস্পতিবার নোবেলকে নির্দেশ দিল বাংলাদেশের আদালত। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা।
রিয়্যালিটি শো-এর দৌলতে ভারতে যথেষ্ট পরিচিত বাংলাদেশের গায়ক মইনুল আহাসান নোবেল। এমনকি এ দেশে ছবির গানও গেয়েছেন তিনি। তবে গত কয়েক বছর ধরেই নানা মামলায় জড়িয়েছেন নোবেল। নাম জড়িয়েছে একাধিক বিবাহ, প্রতারণা, গার্হস্থ্যহিংসার মতো অভিযোগে। মাত্র কয়েক মাস আগেই তিনি নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। কিন্তু তার পরই ফের গ্রেফতার হন। অপহরণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগে নোবলেকে গ্রেফতার করে স্থানীয় ডেমরা থানার পুলিশ। গত ২০ মে থেকে সংশোধনাগারে নোবেল।
আরও পড়ুন:
নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরই পরিচিত এক মহিলা। কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার পরই সেই মহিলাকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেন গায়ক। যদিও বিবাহ সংক্রান্ত কাবিননামা তিনি আদালতে দাখিল করতে পারেননি।
অভিযোগ, গত নভেম্বর মাসে ওই মহিলাকে নিজের স্টুডিয়ো দেখানোর নাম করে ডেকে নিয়ে যান নোবেল। তার পর তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়। এমনকি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়।
ডেমরা থানার পুলিশ আদালতকে লিখিত ভাবে জানিয়েছে, সাত বছর আগে ২০১৮ সালে ফেসবুকে নোবেলের সঙ্গে ওই মহিলার পরিচয় হয়। সে সময় তিনি ঢাকার একটি কলেজে তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। গত বছর ১২ নভেম্বর ডেমরা এলাকায় নোবেল নিজের স্টুডিয়ো দেখানোর জন্য ডেকে নিয়ে যান তাঁকে। রাত ৮টার পর ওই মহিলা বেরিয়ে যেতে চাইলে তাঁর মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন নোবেল। পরে তা ভেঙেও ফেলেন। অভিযোগ, এর পর ধর্ষণ করে তার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন গায়ক। ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেই ভিডিয়ো। এর পর সাত মাস ওই মহিলাকে জোর করে নিজের কাছে আটকে রাখেন বলেও অভিযোগ। তত দিনে নির্যাতনের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে নির্যাতিতার বাবা-মা গিয়ে মেয়েকে নোবেলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) নাজমিন আখতার অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেন নোবেলকে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে, নোবেলের আইনজীবী জসীমউদ্দিন জানান, এ দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযোগকারিণীও। অভিযুক্ত নোবেলের পক্ষ থেকে আদালতে লিখিত ভাবে বিয়ে করার অনুমতি চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের সম্মতিতেই বিয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।