Advertisement
E-Paper

‘শহিদদের জীবন পণ্য হতে পারে না’, আইনি জটে ‘ধুরন্ধর’! মেজর মোহিত শর্মার বাবা-মা আদালতের দ্বারস্থ

ছবির পরিচালক জানিয়েছেন, এই ছবির সঙ্গে মোহিত শর্মার কোনও যোগ নেই। কিন্তু মেজর মোহিতের মা ও বাবা তাঁদের আবেদনে জানিয়েছেন, এই ছবির অনেক কিছুই তাঁদের পুত্রের জীবন থেকে নেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৩১
মোহিত শর্মার জীবন নিয়েই রণবীরের ‘ধুরন্ধর’?

মোহিত শর্মার জীবন নিয়েই রণবীরের ‘ধুরন্ধর’? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

‘ধুরন্ধর’ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। ঝলকমুক্তির পরে নানা বিতর্কও তৈরি হয়েছে। এ বার আইনি ফাঁপরে পড়ল আদিত্য ধর পরিচালিত এই ছবি। মেজর মোহিত শর্মার জীবনের উপর তৈরি এই ছবি, ছড়িয়েছিল এমন খবর। এ বার মোহিত শর্মার বাবা ও মা দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। তাঁদের আবেদন, এই ছবি যেন মুক্তি না পায়।

ছবির পরিচালক অবশ্য জানিয়েছেন, এই ছবির সঙ্গে মোহিত শর্মার কোনও যোগ নেই। কিন্তু মেজর মোহিতের মা ও বাবা তাঁদের আবেদনে জানিয়েছেন, এই ছবির অনেক কিছুই তাঁদের পুত্রের জীবন থেকে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এসব করার আগে পরিবারের থেকে কোনও অনুমতি নেননি নির্মাতারা।

প্রথমে শোনা গিয়েছিল রণবীরকে দেখা যাবে মেজর মোহিত শর্মার চরিত্রে। তবে এই দাবি স্বীকার করেননি পরিচালক। কিন্তু ‘ধুরন্ধর’ ছবির ঝলকের কিছু দৃশ্য পুরোপুরি মেজর মোহিতের জীবন ও তাঁর গুপ্তচর অভিযানের সঙ্গে মিলে যায় বলে দাবি করেছেন মোহিত শর্মার মা ও বাবা। এত মিল থাকা সত্ত্বেও কোনও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হয়নি এবং অনুমতিও নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, “একজন শহিদের জীবন কখনওই বাণিজ্যিক পণ্য হয়ে উঠতে পারে না। আর্থিক লাভের জন্য অনুমতি ও সম্মান ছাড়া তাঁর জীবনকে নতুন করে তুলে ধরা যায় না।”

মেজর মোহিত শর্মার বাবা ও মায়ের বক্তব্য, কোনও রকম অনুমতি ছাড়া মোহিত শর্মার জীবন নিয়ে ছবি করা আইনসম্মতও নয়। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ছবির মুক্তি আটকাতে চেয়েছেন তাঁরা। এই ছবি মুক্তি পেলে জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হতে পারে, এই আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের প্রথম দিকে মোহিত শর্মা পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ইফতিকার ভট্ট পরিচয় নিয়ে। ভারতের গুপ্তচর হিসাবে অভিযান চালিয়েছিলেন। তবে আদিত্যের দাবি, রণবীরের চরিত্রের সঙ্গে মোহিতের কোনও মিল নেই। রণবীরের ‘লুক’-এর সঙ্গে মোহিতের চেহারার মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটাগরিক। কিন্তু আদিত্যের বক্তব্য, “নির্ভীক মেজর মোহিত শর্মার জীবন থেকে আমাদের ছবি ‘ধুরন্ধর’ মোটেই উদ্বুদ্ধ নয়। এটা আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করছি। আমরা ভবিষ্যতে যদি ওঁর জীবনীচিত্র তৈরি করি, ওঁর পরিবারের অনুমতি নিয়েই করব। এমন ভাবে তৈরি করব যাতে ওঁর ত্যাগকে সম্মান জানানো যায়।”

Dhurandhar Ranveer Singh Aditya Dhar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy