মনোজ বাজপেয়ী (বাঁ দিকে)। ‘জোকার’ চরিত্রে হিথ লেজার। ছবি—সংগৃহীত
অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ীকে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে ‘সির্ফ এক বান্দা কাফি হ্যায়’ ছবিতে। আইনজীবীর চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকের বাহবা পেয়েছে। ২০০১ সালে ‘আক্স’ ছবিতে অভিনয় করেও সাড়া ফেলেছিলেন মনোজ। রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা পরিচালিত এই ছবিতে ‘রাঘবন’ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। রাঘবন খুন করত। অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে সে আইনকে তুলে নিয়েছিল নিজের হাতে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই চরিত্রটির সঙ্গে অভিনেতা তুলনা টানলেন হিথ লেজার অভিনীত কালজয়ী ‘জোকার’ চরিত্রটির। বাইশ বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘আক্স’ ছবির রাঘবন চরিত্রটির সঙ্গে কী ভাবে মিলে যায় ‘দ্য ডার্ক নাইট’(২০০৮)-এর ‘জোকার’? অভিনেতা বলেন, “লোকে ভাববে আমি নিজেকে অধিক মহিমান্বিত করছি। কিন্তু বন্ধুমহলেও আমি প্রায়ই আলোচনা করেছি যে, এ ধরনের চরিত্র বলিউডেই প্রথম আসে। আমরাই আগে করেছি। এই গৌরব অনুভব করতে আমার কুণ্ঠা নেই।”
রাঘবন চরিত্র আয়ত্ত করতে ছয় থেকে সাত মাস সময় লেগেছিল মনোজের। চরম পর্যায়ের এক খলচরিত্রকে মূর্ত করার দায়িত্ব সানন্দে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে সংলাপ দেওয়া হয়েছিল ইংরেজিতে লিখে। সেই স্মৃতির আগল খুলে মনোজ বললেন, “মনে আছে, আমি তখন আমেরিকার আটলান্টায় ছিলাম। ওখানে বসেই চরিত্রটার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। একটা পানশালায় গিয়ে মদের বোতলগুলোকে দেখছিলাম এক দিন। বাইরে থেকে খুব লোভনীয় মনে হচ্ছিল, কিন্তু ভিতরে যা ছিল, সেটা তো বিষাক্ত! তখনই বুঝেছিলাম। খারাপ কিছুকে আকর্ষণীয় হতে হয়।”
এ ভাবেই রাঘবন হয়ে ওঠার মন্ত্র পেয়ে যান মনোজ। যদিও ‘জোকার’ চরিত্রে অভিনয়ের পর মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল হিথ লেজারের। চরিত্র থেকে বেরোতে পারেননি অভিনেতা। হতাশা, অবসাদে আচ্ছন্ন হয়ে মাত্র ২৮ বছর বয়সে জীবন শেষ করে দেন তিনি। ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত ‘দ্য ডার্ক নাইট’ মুক্তি পায় তারও ছ’মাস পরে। মনোজ ‘রাঘবন’ চরিত্রের গভীরে ঢুকেছিলেন, তবে বেরিয়ে আসতে সমস্যা হয়নি। অভিনেতাকে এর পর দেখা যাবে দেবাশিস মাখিজা পরিচালিত ‘জোরাম’ ছবিতে। মহম্মদ জিশান আয়ুব, তন্নিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়, রাজশ্রী দেশপাণ্ডেও আছেন সেখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy