মোহনীশ বহেল।
১৯৮৩ সালে ‘বেকরর’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন মোহনীশ বহেল। কিন্তু প্রথম ছবিই মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে। এর পর একের পর এক ফ্লপ ছবি। ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে ফেলেও সাফল্যের মুখ না দেখায় হতাশ মোহনীশ অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এমনকী পাইলট হিসাবে কেরিয়ার শুরু করারও প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু তাঁর জীবনের চিত্রনাট্য ছিল অন্য রকম।
স্ট্রাগলের প্রায় ছ’বছর কেটে যাওয়ার পর মোহনীশের কাছে আসে সুবর্ণ সুযোগ। ১৯৮৯ সালে সুরজ বরজাতিয়া ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন মোহনীশকে। তবে নায়কের চরিত্রে নয়, খলের চরিত্রে। তবে এই সুযোগও মোহনীশের কাছে আসে সলমনের মাধ্যমে। তিনিই সুরজকে প্রথম ভিলেনের চরিত্রের জন্য মোহনীশের কথা বলেছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে মোহনীশ জানান, “একদিন হঠাৎ আমার এবং সলমনের দেখা হয়েছিল। আমরা তখন থেকেই বন্ধু। সলমনও তখন ছবি তৈরির কাজ শুরু করার চেষ্টা করছিল। যখন ও 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া'-র অফার পেয়েছিল, আমার নামও বলেছিল ভিলেনের চরিত্রের জন্য।”
আরও পড়ুন: ‘আমাকে ঠকানো হয়েছে, মিথ্যে বলা হয়েছে’, কর্ণ-অনুষার সম্পর্ক ভাঙার কারণ প্রকাশ্যে
নায়ক হিসেবে সফল হতে পারেননি। তাই সেই চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছাও শেষ হয়ে গিয়েছিল অভিনেতার। সাত পাঁচ না ভেবেই খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রাজি হয়ে যান মোহনীশ। তাঁর কথায়, ‘আমি ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করলেও আশা করিনি এই চরিত্র আমার কেরিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ৩০ বছর পরেও এই কাজের জন্যই এখনও টিকে আছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy