রোজ দাসানি ২ স্টুডিয়োয় যেতে হয় তাঁকে। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় গাড়ির ঝাঁকুনি সহ্য করতে করতে। “সারা শরীর ব্যথা হয়ে যায়! ওই অবস্থায় গিয়ে সারা দিন শুটিং। তার পর আবার ফেরা”, সমাজমাধ্যমের পাশাপাশি আনন্দবাজার ডট কম-এর কাছেও দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতার বার্তায় কাজ হয়েছে। মঙ্গলবার তিনি জানান, বেহাল রাস্তার ৮০ শতাংশের কাজ শেষ। বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে দ্রুত। এর জন্য অভিনেতা ধন্যবাদ জানিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং সাংসদ-অভিনেতা সায়নী ঘোষকে।
আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করতেই গলায় খুশির রেশ। ভাস্বর বললেন, “আমার পোস্ট অরূপদা দেখবেন বুঝিনি। রাস্তার খোঁজখবর নিয়ে সবিস্তার জানাতে বলেন সায়নীকে। এখন পিচ ঢালা সেই রাস্তা কত ঝকঝকে!” এও জানালেন, কাজটি ততটাও সহজ ছিল না। ওই রাস্তায় কোনও নিকাশি ব্যবস্থাই ছিল না। সে সব করে রাস্তা সারাতে তাই সময় লেগে গেল। এখনও সামান্য কাজ বাকি। তাঁর বিশ্বাস, অতি দ্রুত সেই কাজও শেষ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:
ভাস্বরের সঙ্গে সঙ্গে হাসি ফুটেছে স্থানীয়দের মুখেও। এত দিন এলাকার মানুষেরাও অনেক যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। অভিনেতা খ্যাতনামী। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এখন জনপ্রিয় লেখকও। তাই কি শাসকদলের তরফ থেকে দ্রুত সাড়া পেলেন?
“একেবারেই তা নয়”, সাফ বললেন অভিনেতা। ভাস্বরের মতে, “আমার অভিজ্ঞতা বলে, শাসকদলের কাছে সঠিক খবর পৌঁছলে সমাধান হয়। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো সেটাই হয় না।” তিনি বাংলার পরিচিত প্রবাদ উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেন। জানান, ছেলে না কাঁদলে মা-ও খেতে দেন না। তাই নিজের সমস্যার কথা নিজেকেই জানাতে হবে। অভিনেতার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন এক অনুরাগী। মন্তব্য বাক্সে লিখেছেন, “গত কয়েক দিন আমার বাড়ির পাশে প্রচুর ময়লা জমে ছিল। আমাদের পৌরমাতাকে বলার পর আজকে তা পরিষ্কার করে নিয়ে গিয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, ঠিক জায়গায় ঠিক কথা জানালে অবশ্যই কাজ হয়।”