সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর সঙ্গে পর পর কাজ ও একাধিক সফল গান বাঁধার জন্য বলিউডের অতি পরিচিত নাম ইসমাইল দরবার। কিন্তু বিতর্কে ঘেরা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন। বিবাহিত অবস্থাতেই দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় স্ত্রী কি তাঁর জন্যেই ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন? সম্প্রতি সব বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ‘দেবদাস’ ছবির সঙ্গীত পরিচালক।
ইসমাইল জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রী ফরজ়ানার সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক জীবন ভাল চলছিল না। কোনও ভাবেই বনিবনা হত না। তখন তাঁর জীবনে আসেন প্রীতি। বিবাহিত অবস্থাতেই প্রেমে পড়েন ইসমাইল। তার পরে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। প্রীতি রাজি হন এবং ধর্ম পরিবর্তন করার পরে তাঁর নাম হয়— আয়েশা। জানান ইসমাইল নিজেই।
প্রথম স্ত্রী ফরজ়ানার সঙ্গে দুই পুত্রসন্তান রয়েছে ইসমাইলের। ফরজ়ানাকে ছেড়ে আয়েশার সঙ্গে বিয়ে করলেও, তাঁরা কখনও বাবার সঙ্গে নাকি উঁচু গলায় কথা বলেননি। প্রথম স্ত্রীর বিষয়ে ইসমাইল জানান, তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু বনিবনা ঠিক ছিল না। সম্পর্কে কোনও রসায়নও ছিল না। শেষ দু’মাস নাকি আলাদা থাকাও শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ইসমাইল দ্বিতীয় বিয়ে করছেন, এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি প্রথম স্ত্রী ফরজ়ানা। প্রকাশ্যে প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। ইসমাইল বলেন, “আসলে ও প্রত্যাশা করেনি, আমি এমন কিছু করতে পারি। তবে শেষ দশ বছর ধরে আমি নানা ইঙ্গিত দিয়েছিলাম।”
ইসামাইল মানতে নারাজ, তিনি প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন। তিনি বলেন, “একদিন আমার ফরজ়ানার সঙ্গে খুব ঝগড়া হল। আমি সঙ্গে সঙ্গে আয়েশাকে ফোন করি। আমরা গাড়িতে করে ঘুরতে থাকি। এক জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমি ওকে বিয়ের প্রস্তাব দিই। ও রাজি হয়। তখন আমি জানতাম না ও এক ধনী ব্যক্তির বাগ্দত্তা ছিল। ও ভাবত, আমি দারুণ সঙ্গীত পরিচালক। সেই কারণেই আমার প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করেছিল।”
একদিন হঠাৎই সুরাতে দিয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেন। কিন্তু ধর্ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নাকি স্ত্রী নিজেই নিয়েছিলেন। ইসমাইল গর্ব করে জানান, নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ছেড়ে এসে তাঁর সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন আয়েশা। তাঁর কথায়, “ও এখনও আমাকে সাজিয়ে দেয়। আমার জুতোও ও বেঁধে দেয়।” আয়েশার সঙ্গেও তাঁর এক পুত্রসন্তান রয়েছে। তিন সন্তানের মধ্যেই সুসম্পর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি।