নাসিরুদ্দিন শাহ। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম কৃতী ও নামজাদা অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ। কৃতী অভিনেতার পাশাপাশি সংবেদনশীল শিল্পীও তিনি। স্পষ্টবক্তা ও রাজনৈতিক ভাবে সজাগ এক জন নাগরিক। অভিনয় ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অনায়াসে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে পারেন তিনি। নিজের মতপ্রকাশ করতেও যেমন পিছপা হন না নাসির, তেমনই নিজের জীবনের আক্ষেপ নিয়েও খোলামেলা ভাবেই কথা বলতে পারেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের পারিবারিক জীবনের একাধিক আক্ষেপ নিয়ে মুখ খোলেন নাসির।
বাবার সঙ্গে কোনও কালেই খুব একটা ভাল সম্পর্ক ছিল না নাসিরের, এ কথা এর আগেও একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাসির জানান, বাবাকে নিজের জীবনের খলনায়ক মনে করতেন তিনি। নাসির বলেন, ‘‘আমি ভাবতাম, বাবাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় খলনায়ক। সেই তিক্ততা থেকে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে বাবাও আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন। তিনি চেয়েছিলেন যাতে আমি বড় হয়ে চিকিৎসক হই। যখন দেখলেন যে গতে বাঁধা লেখাপড়ায় আমার তেমন উৎসাহই নেই, তখন আমাকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘চিরকাল নাটক করলে খাবে কী!’’’ নাসির আরও বলেন, ‘‘আমি কোনও দিন আমার বাবার মতো হতে চাইনি। আমি চেয়েছিলাম আমার সন্তানেরা আমাকে জড়িয়ে ধরবে, আমার সঙ্গে বসে গল্প করবে, আমার সঙ্গে মন খুলে হাসতে পারবে। তবে দুর্ভাগ্যবশত, আমি নিজেই আমার সন্তানদের সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলিনি। তবে আমি কোনও দিন তাদের গায়ে হাতও তুলিনি। আমি চাইনি যে ওরা কখনও আমাকে ভয় পাক। আমি জানি না আমি আদর্শ বাবা কি না, বা আমি কতটা সফল হয়েছি।’’ নাসির জানান, তিনি নিজেই নাকি তাঁর ছোট ছেলেকে বেশ ভয় পান!
বাবার জীবনের শেষ দিনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন না নাসিরুদ্দিন, এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা। রাগের বশে নেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে সেই আক্ষেপ এখনও থেকে গিয়েছে তাঁর। নাসির জানান, এখনও মাঝেমধ্যে বাবার কবরে গিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy