অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। ফাইল ছবি।
সিনেমায় যেমন বিষয়বস্তুর গভীরতা নেই, ভাষার প্রয়োগ নিয়েও সন্তুষ্ট নন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁর দাবি, হিন্দি ছবিতে উর্দুর ব্যবহার এখনও চলছে, তবে মান পড়ে গিয়েছে অনেকটাই। তার উপর সাম্প্রদায়িক খোঁটা। এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে ঘৃণার চোখে দেখেন বলে আক্ষেপ ‘মাসুম’ অভিনেতার।
এক সাক্ষাৎকারে নাসিরউদ্দিন বলেন, “সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। উর্দুর ব্যবহার হিন্দি ছবিকে কিছু মাত্র উৎকর্ষ দেয়নি।”
আরও বলেন, “আজকাল আমরা হিন্দি সিনেমায় উর্দু তেমন শুনি না। আগে সেন্সর বোর্ড শংসাপত্র দিত যখন স্পষ্ট লেখা থাকত, উর্দু। কারণ, গানের কথা, শায়েরি, এ সব উর্দুতে হত। সিনেমার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকত এই ভাষার আধিপত্য। লেখকরাও ছিলেন পার্সি।”
নাসিরের আক্ষেপ, এখন সব বদলে গিয়েছে। ভাষা নিম্ন মানের। তাঁর মতে, ছবির নামকরণ নিয়েও চিন্তাভাবনার অভাব রয়েছে। পুরনো গানের লাইন ভেঙেই বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে এ যুগের নতুন নতুন সিনেমার নামে।
শুধু তা-ই নয়, অভিনেতার কথায়, ভারতের মতো বহুজাতিক দেশে সিনেমাতেও সাম্প্রদায়িক আক্রমণ চলছে নির্বিচারে। হিরোর বন্ধু হয়ে যান শিখ, খ্রিস্টান, মুসলিম ব্যক্তিরা। যারা সব সময়ে কোণঠাসা চরিত্রে। শেষে তাদের মারা যেতেও দেখা যায়। যেন কৃপার পাত্র হিন্দু ছাড়া সকলেই। এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসুক বলিউড, এমনটাই চান বর্ষীয়ান অভিনেতা।
বরাবরই পরিশীলিত হিন্দি এবং উর্দুতে কথা বলেন নাসিরউদ্দিন। অভিনয়ে দর্শকের মন ছুঁয়ে যান এই বয়সেও। চলতি বছর জানুয়ারির ১৩ তারিখ মুক্তি পেয়েছে নাসিরউদ্দিন অভিনীত ‘কুত্তে’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy