অমিতোশ, সুস্মিতা ও সঞ্জয় ফাইল ছবি
পুজোর মরসুমে কলকাতার রাস্তাঘাটে চলছিল একটি হিন্দি অ্যান্থলজির শুটিং। ছবিটি হিন্দি হলেও, বাংলার প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। পরিচালক, অভিনেত্রী এবং অন্যান্য কলাকুশলীদের অনেকেই বাঙালি। পরিচালক সঞ্জয় নাগের এই হিন্দি ছবির নাম ‘তসবির সে বিগড়ি হুয়ি তকদীর বানা লে।’ তিনটি কাহিনি নিয়ে এই অ্যান্থলজি, যার প্রথম দু’টি সঞ্জয় পরিচালনা করছেন। জানালেন, রোম্যান্টিক-থ্রিলার জ়ঁরের অ্যান্থলজির প্রথম গল্পটি কলকাতার প্রেক্ষাপটে। ছবিতে ‘প্রেম-টেম’খ্যাত অভিনেত্রী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন। এটি সুস্মিতার প্রথম হিন্দি কাজ হতে চলেছে। ছবির প্রধানচরিত্রে রয়েছেন অমিতোশ নাগপাল।
ছবির প্রথম গল্পটির শুট সম্প্রতি শেষ হয়েছে। গল্পের ব্যাখ্যায় সঞ্জয় বলছিলেন, ‘‘আমার কাহিনিতে ছেলে চরিত্রটির নাম আনন্দ। সে বাইরে থেকে কলকাতা শহরে আসে তার বাবাকে খুঁজতে। এখানে এসে একটি মেয়ের সঙ্গে আলাপ হয়। একটা জিনিসের খোঁজে এসে অন্য কিছু পায় সে। কাহিনিও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ট্রাভেল করে।’’ এই কাহিনির অভিনেতারাই অ্যান্থলজির দ্বিতীয় গল্পে রয়েছেন। কিন্তু সেখানকার প্রেক্ষিত আবার আলাদা।
অভিনেতা অমিতোশ ‘পঞ্চালৈট’ ছবিতে নজর কেড়েছিলেন। তিনি লেখক হিসেবেও ইন্ডাস্ট্রিতে সুপরিচিত। ‘হিন্দি মিডিয়াম’, ‘আধার’, ‘সাইনা’-সহ বেশ কিছু ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। কলকাতায় শুট করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘শহরটার আলাদা একটা চরিত্র আছে।’’ লেখক না অভিনেতা— কোন কাজটা বেশি পছন্দের? ‘‘আমি যে ধরনের ছবিতে অভিনয় করেছি আর যে ছবিগুলো লেখার কাজে যুক্ত ছিলাম— একেবারে বিপরীতধর্মী। সঞ্জয় এবং আমি একই ধরনের ছবি দেখতে ও বানাতে পছন্দ করি,’’ বক্তব্য অমিতোশের। এই ছবির কাহিনিও তাঁরই।
কেরিয়ার শুরুর দেড় বছরের মধ্যেই হিন্দি ছবিতে ব্রেক পেয়ে উত্তেজিত সুস্মিতা বলছেন, ‘‘আমি ভাগ্যবান যে, এই সুযোগগুলি পাচ্ছি। ছবিতে আমার চরিত্রের নাম বেলা। মেয়েটি ফুড ডেলিভারির কাজ করে। নিজের ইমপালসে চলে। জীবনে শান্তিও খুঁজে চলেছে সে।’’
‘মেমরিজ় ইন মার্চ’, ‘ইয়োর্স ট্রুলি’র পরিচালক বাংলায় কবে ছবি করবেন? সঞ্জয়ের সহাস্য জবাব, ‘‘বাংলার বাজারে ছবি করা এখন বেশ ঝুঁকির।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy