নিক-প্রিয়ঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস। রাজস্থানের জোধপুরে উমেদ ভবন প্যালেসে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ও হলিউডের পপ তারকা নিক জোনাস। ডেস্টিনেশন ওয়েডিং বলে কথা, গোটা উমেদ ভবন প্যালেস সেজে উঠেছিলে প্রিয়ঙ্কা ও নিকের বিয়ে উপলক্ষে। প্রিয়ঙ্কার গোটা পরিবার হিন্দু, তবে জোনাস পরিবার খ্রিস্টান। দুই পরিবারের সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে হিন্দু ও খ্রিস্টান দুই ধর্মমত মেনেই চারহাত এক হয়েছিল যুগলের। খ্রিস্টান মতে বিয়ের জন্য র্যালফ লরেনের ডিজ়াইন করা সাদা গাউনে সেজেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। নিকের পরনে ছিল কালো স্যুট। একে অপরের হাত ধরে সারা জীবন পথচলার অঙ্গীকার করেছিলেন দু’জনে। হিন্দু রেওয়াজ মেনে গায়েহলুদ, মেহন্দি ও সঙ্গীতের অনুষ্ঠানের পরে সাতপাক ঘুরেছিলেন নিক ও প্রিয়ঙ্কা। বিয়ের দিন সেজেছিলেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজ়াইন করা লাল লহেঙ্গায়। মালাবদল থেকে সিঁদুরদান, সব অনুষ্ঠানই সম্পন্ন হয়েছিল রীতি মেনে। এ দিকে নিক তো মোটেই এই সব অনুষ্ঠানের সঙ্গে ওয়াকিবহাল নন। স্বভাবতই, ওই সময়ের মধ্যে সবটা বুঝেও উঠতে পারেননি তিনি। ফলে বেশ ফাঁপরে পড়েছিলেন নিকের স্বামী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বিয়ের সেই স্মৃতিচারণ করলেন নিক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বিয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নিক জানান, হিন্দু মতে বিয়ের সময় অদ্ভুত এক জটিলতার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কী সেই জটিলতা? মালাবদলের সময় পাত্র ও পাত্রীকে কাঁধের উপরে চাপানোর রেওয়াজ এ দেশে কারও অজানা নয়। যে আগে অন্য জনের গলায় মালা পরাতে পারবে, সেই জিতবে। মালাবদলের সময় প্রিয়ঙ্কাকে কাঁধে তোলার পরেই ফাঁপরে পড়েছিলেন নিক। তাঁর কথায়, ‘‘এই খেলাটা খুব মজার, কিন্তু বেশ চাপেরও। আমি আর প্রিয়ঙ্কা দু’জনেই জিততে ভালবাসি! ওই সময় আমাদের দু’জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল যে কে আগে মালা পরাতে পারবে!’’
চার বছরের বেশি সময় ধরে দাম্পত্য জীবন উপভোগ করছেন প্রিয়ঙ্কা ও নিক। চলতি বছরে পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলেছে তাঁদের বিয়ের। এখন মালতী মেরি চোপড়া জোনাসের মা-বাবা তাঁরা। গত মাসে প্রিয়ঙ্কার জন্মদিন উপলক্ষে একসঙ্গে অনেকটা সময় উপভোগ করেছেন চোপড়া-জোনাস পরিবারের সদস্যরা। সমাজমাধ্যমের পাতায় দেখা গিয়েছে একাধিক ছবিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy