মিমি দত্ত এবং ওম সাহানি
ঠিক যেমন বিয়ের সময়ে রণবীর সিংহকে সিঁদুর পরিয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন, তেমনই ওম-এর কপালে সিঁদুর দিলেন মিমি। বুধবার বৈদিক মতে বিয়ে হল টেলি পাড়ার জনপ্রিয় জুটি ওম সাহানি এবং মিমি দত্তর। বিয়ে সম্পন্ন করলেন পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক। পড়া হল সংস্কৃত মন্ত্র। গাওয়া হল রবীন্দ্রসঙ্গীত।
যদিও এক মাস আগেই দাম্পত্য জীবন শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁদের। কিন্তু কেবল সইসাবুদে বিয়ের আশ মেটেনি ওম-মিমির। দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছরের প্রেম জীবন পেরিয়ে দম্পতি হিসেবে নতুন পথ চলা শুরু তাঁদের। সে উপলক্ষে সাজগোজ, পেটপুজোর প্রয়োজন তো বটেই। আর সেটাই করলেন নবদম্পতি। সামাজিক ভাবে এ দিন বিয়ের অনুষ্ঠান সারলেন টেলি পাড়ার চর্চিত জুটি ওম সাহানি এবং মিমি দত্ত।
আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়েটা করবেন কি না, তা নিয়ে খানিক ধন্দ্বে ছিলেন অভিনেতা-অভিনেত্রী। করোনা নিয়ে চিন্তা ছিল মনে। মাস খানেক আগে আনন্দবাজার ডিজিটালে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ে ওম সাহানি বলেছিলেন, ‘‘এই মুহূর্তে সামাজিক বিয়ের পরিকল্পনা নেই। এমনকী, রেজিস্ট্রিটাও হঠাৎই করে ফেলা। তবে সকলকে নেমন্তন্ন করে বিয়ের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছে আছে। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত পরিস্থিতি কেমন দাঁড়ায় দেখা যাক, সেই বুঝে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠান করার ভাবনা-চিন্তা চলছে।’’
সেই ভাবনা-চিন্তার অবসান ঘটল বুধবার। ধুমধাম করে বিয়ে করলেন তাঁরা। টেলি পাড়ার নক্ষত্রখচিত এই বিয়ের সাক্ষী ছিল আনন্দবাজার ডিজিটাল।
বিকেল ৪টে থেকে জমজমাট ক্লাব ভার্দে ভিস্তা। কনে মিমি দত্ত সাজগোজে ব্যস্ত ছিলেন বিকেল থেকে। বাঙালি ও অবাঙালি ফিউশনে সেজে উঠেছিলেন মিমি। লাল বেনারসি, লাল চুড়া, সোনার গয়নায় জমকালো কনে। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা থেকে সকলের নজর ঘুরল অন্য দিকে। উঠল ‘বর আসবে বর আসবে’ রব। বরণডালা নিয়ে কনেপক্ষ অপেক্ষা করতে থাকেন বরের জন্য। খানিক ক্ষণের মধ্যেই নায়কোচিত প্রবেশ ওমের। ‘মুঝসে শাদি করোগি’ গানে নাচলেন বর। পা মেলানেন পরিজনেরা। ঘিয়ে রঙের পাগড়ি পরে সাদা-লাল কুর্তায় মানানসই তিনি। সঙ্গে সাদা চোস্ত ও সোনালি রঙের জুতি। এর পর চলল বাকি রীতি রেওয়াজ।
বিয়ের পিঁড়িতে ওম-মিমি। এক পাশে পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক। অন্য পাশে তাঁর সহকারী। আর একটু দূরে মাইকে গান গাইছেন দুই মহিলা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’, ‘এ লভিনু সঙ্গ তব’-এর মতো গানের আবহে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন ওম ও মিমি। সংস্কৃত ভাষায় মন্ত্র পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজি ভাষায় তা বিশ্লেষণ করে দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy