পল্লবীর মৃত্যু ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা
ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে কালার্স বাংলা চ্যানেলের ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকের নায়িকা পল্লবী দে-র। খবরটি শুনে স্তব্ধ ধারাবাহিকের সহ-অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে শহরের বাইরে বড় পর্দার শ্যুটে ব্যস্ত অভিনেতা। সেখানেই রবিবার সকালে খবরটি পান তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনের ফোনে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন জয়জিৎ। তাঁর দাবি, ‘‘একটু চুপচাপ স্বভাবের মেয়ে ছিল পল্লবী। শ্যুটের ফাঁকে অবসর সময়ে কেমন যেন অন্যমনস্কও থাকত। তা বলে আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে ও ছিল না!’’
জয়জিৎ আরও জানিয়েছেন, তিনি পল্লবীর প্রথম ধারাবাহিক ‘রেশমঝাঁপি’-তেও ছিলেন। অভিনেত্রীর লুক সেটের পর প্রযোজকের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। তখনই জয়জিৎ বলেছিলেন, পল্লবী দর্শকদের মন জয় করবেন তাঁর মায়াময়, মিষ্টি মুখ দিয়ে। সে কথা পরে তিনি অভিনেত্রীকেও একাধিক বার বলেন। অভিনেতার কথায়, ‘‘পর্দায় ও আমার বোন ছিল। বাস্তবেও তাই। ভুল করলে বকতাম। পল্লবী চুপচাপ শুনত। নিজেকে দ্রুত সংশোধন করে নিত। সেটে যখন থাকত, হাসিমুখে সবার সঙ্গে মিলেমিশেই কাজ করত। এবং তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল, এমনটাও শুনিনি।’’
মাত্র ২৫ বছর বয়স। হাওড়ার বাসিন্দা পল্লবী নিজেকে প্রমাণ করতে চলে আসেন শহর কলকাতায়। সাড়া দিয়েছিলেন রুপোলি পর্দার হাতছানিতে। বাড়িতে মা-বাবা এবং এক দাদা (মতান্তরে ভাই)। খবর পেয়েই তাঁরা ছুটে এসেছেন বাঙুর হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, প্রেম হওয়ার পরেই গড়ফার বাড়িতে এক ছাদের নীচে থাকতে শুরু করেন পল্লবী ও তাঁর সঙ্গী। জয়জিতের কথায়, মৃত্যুর আঠেরো ঘণ্টা আগেও তিনি প্রেমিক এবং লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে সপ্তাহান্ত কাটানোর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ছবি অনুযায়ী, ইতিউতি ঘোরাঘুরির পাশাপাশি তাঁরা রেস্তরাঁয় খাওয়া দাওয়াও করেছিলেন। সেই মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন, কিছুতেই মানতে পারছেন না তাঁর পর্দার ‘দাদা’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy