পিয়া চক্রবর্তী জলকেলিতে মগ্ন! একদল মহিলা-পুরুষ তাঁকে ঘিরে রয়েছেন। প্রত্যেকে ভীষণ খুশি। সবচেয়ে বেশি খুশি পিয়া। তাঁদের সেই আনন্দের ঝলক ভিডিয়ো আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সেখানে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যায়নি। ঝলক দেখে অনেকের ধারণা, তিনি হয়তো বাড়িতে সন্তান সামলাচ্ছেন।
বাস্তব কিন্তু সেটা নয়। ক্যামেরার আড়ালে ততক্ষণে আরও একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। পরমব্রত-পিয়ার মাত্র দু’মাসের পুত্র এ দিন মায়ের সঙ্গে সুইমিং পুলে! দিনভর উল্লাসে মেতেছে সে। আনন্দবাজার ডট কম-কে পিয়া জানিয়েছেন, ১৫ অগস্ট, অর্থাৎ আগের দিন থেকে যদিও উদ্যাপন শুরু। পেশায় সমাজকর্মীর কথায়, “ওই জন্যই বন্ধুবান্ধব মিলে হইহই করছিলাম। আমার জন্মদিন উপলক্ষে এই প্রথম ছেলে বাইরে বেরোল। এত দিন কেবল চিকিৎসকের কাছে ওকে নিয়ে গিয়েছি। আর কোথাও যায়নি ও।”
এই তো সে দিন একরত্তির ছোট্ট ছোট্ট হাত-পায়ের ছবি প্রকাশ্যে এল। এরই মধ্যে পার্টি করছে ‘জুনিয়র পরম’?
ছেলের মা জানিয়েছেন, বাইরে বেরিয়ে একরত্তি নাকি দারুণ উল্লসিত। বাবার কোলে চেপে সুইমিং পুলের কাছেই ছিল। জলে না নামলেও হাত-পা ছু়ডেছে মহানন্দে। পুচকেকে কোলে নিয়েই পুরো সময় কেটে গিয়েছে নতুন বাবার। তিনি আর পিয়ার সঙ্গে জলকেলিতে যোগ দিতে পারেননি। মধ্যরাতে কেক কাটা পর্বও বাদ যায়নি।
এটা জন্মদিনের আগের দিনের উদ্যাপন। জন্মদিনে কী হল? পিয়া বললেন, “এ দিন রাতে মা খাওয়াবে আমাদের। মাছ-মাংসের ভক্ত আমি। তাই মায়ের রান্নায় সে সব থাকবে। আর থাকবে পায়েস।” পরমব্রতের থেকে কী উপহার পেলেন? স্ত্রীর সুগন্ধি পছন্দ। পিয়াকে সেটাই উপহার দিয়েছেন তিনি। “সকাল থেকে ছেলে কোলে। খুদের মুখ দিয়ে ‘হ্যাপি বার্থডে’ বলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে।” মুখে বলতে না পারলেও ছেলেও নাকি প্রবল উৎসাহে বাবার ভাবভঙ্গি অনুসরণ করার চেষ্টা করছে!