কণ্ঠস্বরে যুদ্ধজয়ের তৃপ্তি। মুখেচোখে রাত জাগার ক্লান্তি। হালকা হাসিতে স্বীকার করলেন, “ছবিমুক্তির আগের রাতে সবার সঙ্গে পুরো টিম জেগে।” ১০ বছরের কষ্ট সার্থক? পুজোয় ‘ধূমকেতু’ই কি ‘রঘু ডাকাত’-এর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী? মুখোমুখি দেব আর আনন্দবাজার ডট কম।
প্রশ্ন: দেব প্রমাণ করে দিলেন, চাইলে স্পষ্ট উচ্চারণে বাংলা বলতে পারেন!
দেব: (হেসে ফেলে) আমি কিন্তু সব ছবিতেই চেষ্টা করি। এ বার কোন ছবিতে দর্শক কোন শব্দের উচ্চারণ নিয়ে বলবেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। আমি সব ছবিতেই পরিশ্রম করি।
প্রশ্ন: খুব পরিশ্রম গেল বলছেন?
দেব: (জোরে হাসি), পৃথিবীতে এমন উদাহরণ নেই যে, ১০ বছর পরে একটি ছবি এ ভাবে মুক্তি পেয়েছে। একটি ছবিকে বাঁচিয়ে তুলে দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, সেই চাপ ছিলই। তার প্রচার, প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া— সবটা। ‘ধূমকেতু’ পদে পদে লড়াইয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। হল পাওয়ার পরের চিন্তা, সিনেমা হল ভরাতে পারব তো? তার পর সকালের শো নিয়ে প্রস্তুতি। শুধু কলকাতায় নয়, গ্রামেও এই ছবি মধ্য রাতে, পরের দিন সকালে দেখানো হয়েছে। বাঙালি কিন্তু এর আগে কোনও দিন ঘুম থেকে উঠে বাংলা ছবি দেখতে যায়নি। এই চাপে সত্যিই ঘুম হয়নি। ছবিমুক্তির আগের রাতে আমরা সবাই জেগে। ঘুম না হওয়ার ক্লান্তি মুছেছে সাফল্যের তৃপ্তি।
দেব দর্শকদের পাশে বসে ছবি দেখতে চান। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রশ্ন: অর্থাৎ সবুরে মেওয়া ফলে?
দেব: ‘ধূমকেতু’ নিজের কপাল নিয়ে জন্মেছে। ১০ বছরে এই ছবি কত কী দেখল! আমার আর ছবির প্রযোজক রানা সরকারের ঝামেলা। শুভশ্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া। তার পর শুভর বিয়ে। এ সবের মধ্যেই রানার সঙ্গে এক চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সমস্যা তৈরি হল। এত কিছু পেরিয়ে ছবির মুক্তি ভীষণ কঠিন ছিল। কিন্তু সব ভাল যার শেষ ভাল। এখন মনে হচ্ছে, ‘ধূমকেতু’ যা পাচ্ছে নিজের ভাগ্যের জোরেই পাচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে, পাঁচ বছর আগে মুক্তি পেলে ছবিটা এই সাফল্য পেত না।
প্রশ্ন: কেন?
দেব: ১০ বছর পরে মুক্তি পাওয়ার ফলাফল, সকাল ৭টাতেও হলে লোকভর্তি। সকাল ৯টাতেও। একই ভাবে প্রত্যেকটি শো-তে এক ছবি। পাশেই কিন্তু ‘ওয়ার ২’ চলছে। সেখানে এই ভিড় কই? বার বার মনে হয়েছে, এই পরিশ্রম সার্থক, এই লড়াই সার্থক। তাই প্রতীক্ষাও সার্থক। আমার জেদ ছিল, ছবিটিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে মুক্তি দেব। পুরনো ছবি বলে অবহেলা করব না। আমার সেই জেদ জিতে গেল।
প্রশ্ন: বাংলা ছবির ‘প্রাইম টাইম’ শো পাওয়া নিয়ে এত দিনের সমস্যাও এই ছবিমুক্তির আগে কাটল....
দেব: যা হল তা আগামী দিনে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার জন্য মঙ্গল হল।
প্রশ্ন: ‘পাগলু’ বা ‘দেশু’র অনুরাগীরা ‘সংযত’ দেবকে দেখে খুশি?
দেব: যাঁরা ‘পাগলু’ দেখে বড় হয়েছেন তাঁরাও পরিণত হয়ে গিয়েছেন। ওঁরা শুধুই নাচগানের ছবি দেখলে এখনও ওই ধারার ছবিই হত। অন্য ধারার ছবি তৈরি হত না। ওঁরাও কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের ছবি দেখছেন। ‘খাদান’ করে এটা বুঝতে পারলাম। ওই ছবি দেখতে শুধুই ‘পাগলু’ ফ্যানেরা আসেননি। তা হলে মাল্টিপ্লেক্স হাউসফুল করতে পারতাম না। দর্শক ভাল ছবি দেখার জন্য তৈরি। ওঁরা কিন্তু ছবির রিভিউ পড়ে ছবি দেখতে আসেন। এই ছবি দেখতেও সব বয়সিরাই ভিড় করেছেন।
নৈহাটিতে বড়মা-এর মন্দিরে দেব-শুভশ্রী। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রশ্ন: দর্শকের সঙ্গে বসে ছবি দেখলেন?
দেব: ছবিমুক্তির দিন যাইনি। ওই দিনটা দর্শক-অনুরাগীদের উৎসর্গ করেছিলাম। এত দিন ধরে ওঁরাও প্রতীক্ষা করেছেন, লড়াই করেছেন। (একটু থেমে) জানেন, সবার সঙ্গে হলে বসে ছবি দেখতে খুব ইচ্ছে করে। যেতে পারি না। গেলেই তো দর্শক ছবি ভুলে আমায় দেখবেন। কেউ ছবি দেখবেন না। তাই ছবির শেষে প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত থাকি। দর্শকের সঙ্গে কথা বলি।
প্রশ্ন: কেমন লাগে?
দেব: (মুহূর্তের স্তব্ধতা) ইন্ডাস্ট্রিতে ১৯ বছর হয়ে গেল। আমার সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি বড় হচ্ছে। পরিবেশকেরা বলে আসছেন, বাংলা ছবি হলভর্তি দর্শক আনতে পারে না। আমার এই ছবি সেটা করেছে। শুনেছি, মুম্বইয়ে এই নিয়ে চর্চা চলছে। নানা মাধ্যমে লেখা হচ্ছে। ভাল লাগে, খুব ভাল লাগে।
প্রশ্ন: ছবিতে দেবের সমান গুরুত্ব পেয়েছেন একমাত্র রুদ্রনীল...
দেব: বেশ কিছু দৃশ্যে আমায় ছাপিয়ে গিয়েছে। আমি তো বলি, রুদ্রের আরও বেশি করে অভিনয় করা উচিত। ওকে টলিউডের খুব দরকার। দেখা হলেই বলি, রাজনীতি তার জায়গায় থাক। তুই আরও বেশি ছবি কর। ছবিতে মন দে। ও জাতীয় সম্মান পাওয়ার যোগ্য।
প্রশ্ন: রুদ্রনীল যে বলেন, বিরোধী পক্ষ হওয়ায় কাজ পান না!
দেব: (একটু থমকে) এটা ওর ব্যক্তিগত মত। আমার কিছু বলার নেই। আমার কোনও সমস্যা নেই। মিঠুন চক্রবর্তী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তো কাজ করছি। কোনও রাজনৈতিক দল তো বারণ করে না! আমিও একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। আমার মনে হয়, এই ছবি দেখে বাংলা ছবির প্রযোজক-পরিচালকেরা রুদ্রনীলকে নিয়ে আবার ভাববেন।
প্রশ্ন: আপনার একাধিক ছবি বিরোধী পক্ষের অভিনেতাদের কারণে নন্দনে জায়গা পায়নি। রুদ্রনীল থাকায় এই ছবি পাবে?
দেব: (একটু হেসে) সত্যিই একটা সময় এটা হয়েছে। আমিও তখন ছোট। ‘প্রজাপতি’ নন্দনে না দেখানোয় অভিমান করে দুটো ছবি পাঠাইনি। এখন বুঝতে শিখেছি। নন্দন কর্তৃপক্ষও বুঝেছেন। আসলে, সময়ের সঙ্গে আমরা তো সকলেই শিখি, বুঝি। ১৬ অগস্ট থেকে ‘ধূমকেতু’ নন্দনে দেখানো হবে।
ঈশ্বরের কাছে কী প্রার্থনা করছেন? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রশ্ন: পরিণত ‘ব্যক্তি’ দেব নিজেকে ফিরে দেখেন?
দেব: বিশ্বাস করুন, এত সময় পাই না। ছবিমুক্তি মানেই কিন্তু অবসর নয়। এক মাসের মধ্যে ‘রঘু ডাকাত’ মুক্তি পাবে। কতটা জায়গা আগের ছবিকে ছাড়তে পারব আর পরের ছবির প্রতি কতটা ন্যায়বিচার করতে পারব, এটাই এখন চিন্তা। সবার ভরসা বা আশা এখন আমাকে ঘিরে (হাসি)। আমিই আমার প্রতিযোগী। পরের ছবির প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা যেমন অনুরোধ করেছেন, ‘অবশ্যই ‘ধূমকেতু’র জন্য প্রচার করবি। ‘রঘু ডাকাত’-এর জন্য আরও বড় করে প্রচার করবি তো?’ অথচ দেখুন, সেই অর্থে তেমন প্রচার করিনি! মাত্র দুটো দিন বেরিয়েছি। এক বার ট্রেলার-মুক্তিতে। আর এক বার নৈহাটিতে বড়মার কাছে পুজো দিতে। ঠিকঠাক প্রচার বলতে গেলে নজরুল মঞ্চে আমার আর শুভশ্রীর একসঙ্গে উপস্থিতি। অনুরাগীরা তাতেই উজ্জীবিত। আগের ছবিটাও আমার, পরেরটাও। এত কিছুর মধ্যে নিজেকে খুঁজে দেখার অবসর মেলে? খেলাম কি খেলাম না, ঘুম হল কি না, কতটা পথ এগোলাম, কতটা পথ পিছোলাম, কতটা পরিণত হলাম...। শুধু কাজ করে যাচ্ছি। ডান দিক বাঁ দিক না তাকিয়ে সোজা তাকিয়ে হাঁটছি। লক্ষ্য একটাই, কী ভাবে নিজের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি করব।
প্রশ্ন: নজরুল মঞ্চে আপনার ও শুভশ্রীর আলাপচারিতা ‘স্ক্রিপ্টেড’, ঠিক?
দেব: (ফোনের ও পারে নৈঃশব্দ)। ছবিমুক্তির যে সাফল্য সেটাই ‘ঠিক’।
প্রশ্ন: এটা রাজনীতিবিদ দেবের উত্তর?
দেব: ওই মঞ্চটা কিসের জন্য ছিল? আমাদের ছবির প্রচারের জন্য। এটা তো সত্যি! আবারও বলছি, অনেকটা সময় আমরা পেরিয়ে এসেছি। একটা সময় আমি আর শুভশ্রী একসঙ্গে ছিলাম। তার পর অনেকটা পথ আমরা আলাদা হেঁটেছি। গত ১২ বছর ধরে তো রুক্মিণীর সঙ্গেই আছি। শুভ-র সঙ্গে হয়তো তিন-চার বছর ছিলাম। ওরও জীবন বদলে গিয়েছে। আমাদের নিয়ে অনেকটা ‘নেগেটিভিটি’ ছিল। কখনও ও বলেছে, কখনও আমিও বলেছি। তার থেকে তৈরি এই নেতিবাচকতা যেনতেনপ্রকারেণ মুছতে হবে— এই ভাবনা নিয়ে সে দিন আমরা মঞ্চে উঠেছিলাম। অনেক ভাল স্মৃতি রয়ে গিয়েছে আমাদের সঙ্গে। সেই বার্তা দেওয়া উদ্দেশ্য ছিল। সে সবই ভাগ করে নিতে চেয়েছি। যেন আমাদের অনুরাগীরাও সেই ভাল মুহূর্তগুলো, স্মৃতিগুলো উদ্যাপন করেন। এর বাইরে আর কিচ্ছু না। ওই জন্যই তো প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন। এ সব শুভশ্রীকেও জানানো হয়েছিল। ওই যে ‘খাদান-সন্তান’ কিংবা পরস্পরকে সমাজমাধ্যমে অনুসরণ না করা, চার বছর নষ্ট হয়েছে— এ গুলোই তো ‘পাবলিক’ জানতে চেয়ে এসেছে এত বছর ধরে! তাই সব বলেছি প্রকৃত সত্য সামনে আনতে। যাতে যাবতীয় ভুল বোঝাবুঝি মিটে যায় ওই দিন। সাক্ষী অগুনতি দর্শক। যাতে সকলে বুঝতে পারেন, এই ভাবেও ফিরে আসা যায়।
প্রশ্ন: প্রশ্নগুলো কে তৈরি করে দিয়েছিলেন?
দেব: (ফের থমকে গেলেন) আমরা, আমি। কিসের জন্য করেছি জানেন? সিনেমার জন্য। আমাদের দর্শকের জন্য। যাঁরা দেব-শুভশ্রীকে পর্দায় আবার দেখবেন বলে এতগুলো বছর অপেক্ষা করে থাকলেন। এঁরাই আমাদের জুটি বানিয়েছেন। যার ফলাফল আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন। শ্রীকান্তদা পর্যন্ত বলেছেন, ‘তোরা তো নৈহাটিতে গিয়েও ভাইরাল হয়ে যাচ্ছিস!’
প্রশ্ন: শুভশ্রীকে পাশে নিয়ে রুক্মিণীর নামে পুজো দিচ্ছেন! ভাইরাল হবেন না?
দেব: (জোরে হাসি) সত্যিই আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলাম! জাগ্রত মা। ‘খাদান’ মুক্তির সময় খুব ভয়ে ছিলাম। কমার্শিয়াল ছবি ওই সময়ে মুক্তি পাচ্ছে। মায়ের কাছে মানসিক করে এসেছিলাম, ছবি সফল হলে আবার যাব। সেটাই গিয়েছিলাম। আমি তো যাচ্ছিলামই। টিমকে বললাম, দেখো আর কে কে যাবে। যাঁরা সে দিন ফাঁকা ছিলেন গিয়েছিলেন। ‘খাদান’-এর বেলাতেও এটাই হয়েছিল। তখন ক্যামেরা ছিল না। কেউ জানতে পারেননি। সে দিনও রুক্মিণীর নামে পুজো দিয়েছিলাম। সবাইকে দেখাব বলে বা হেডলাইনে আসার জন্য নয়। (একটু দম নিয়ে) অনুরাগীরা সে দিন যে ভাবে আমাদের দেখতে চেয়েছিলেন, আমরা নৈহাটিতে সেটাই করেছি।
প্রশ্ন: রুক্মিণী এত চুপ কেন?
দেব: (হাল ছেড়ে দিয়ে) আমার নাম কি রুক্মিণী মৈত্র? ওকে জিজ্ঞাসা করুন না! (কী যেন ভেবে), আচ্ছা আমার সঙ্গে দেখা হবে। আমিই জিজ্ঞাসা করব, রুক্মিণী কেন এত নীরব।
দেব-শুভশ্রী যখন এক ফ্রেমে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রশ্ন: আগামী মাসেই দেব ‘রঘু ডাকাত’। আগের ছবির সাফল্য পরের ছবিকে ঢেকে দেবে না তো?
দেব: সেই চিন্তা আমারও। তার পরেও বলব, ঠিকঠাক প্রচারের জন্য ১০ থেকে ১২ দিনের প্রয়োজন। ‘ধূমকেতু’র প্রচারের ক্ষেত্রেও তাই। ‘খাদান’-এর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা। বিষয় ভাল হলে লোকে দেখবেই। ‘ধূমকেতু’ আমার বুকের কাছের ছবি। সব সময় চাইব, এমন কিছু ‘ইতিহাস’ লিখে যাক যা আগামী প্রজন্ম মনে রাখবে। আবার এটাও চাই, ‘রঘু ডাকাত’ আগের ছবিকেও ছাপিয়ে যাক। এখন আমি কৌশিকদার ১০ বছর আগের ছবিতে বিভোর হয়ে আছি। পরের ছবি নিয়ে এর পরে ভাবব।
প্রশ্ন: আগামী দিনে দেব দুটো বাণিজ্যিক ছবি বানালে আর একটি কি অন্য ধারার ছবি বানাবেন?
দেব: একটা ‘খাদান’ দুটো ‘ধূমকেতু’ও হতে পারে! আমি না একটু মেজাজি। যখন যেটা মনে হয় সেটাই করি। আমায় বোঝা মুশকিল। যখন ‘প্রজাপতি ২’ তৈরি ছিল তখন মনে হল ‘খাদান’ বানাব। ছবি ব্লকবাস্টার হতেই মনে হল, আরও বড় একটা কিছু করতে হবে। তখনই মনে হল ‘রঘু ডাকাত’ পড়ে আছে। এ ভাবেই একটার পর একটা বড় কাজ করতে চাইছি। যাতে আগের থেকে পরেরটা বড় হয়। যেটাই বানাব তাকে বড় আর ভাল ছবি হতে হবে। এটাও মাথায় থাকে।
প্রশ্ন: সত্যিই কি প্রথম ভালবাসা থেকেই যায়?
দেব: আমার মনে হয় না। সবটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। আমরা সবাই এগিয়ে যাই। এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। অতীতে বসবাস মানে বর্তমানকে অসম্মান। এটা আমি নই। সেই জায়গা থেকেই বলব, সবাই সুখে থাকুক, ভাল থাকুক। (ফের স্তব্ধতা) জানি, কেন এই প্রশ্ন। শুভশ্রীর সঙ্গে কাজ করছি, আর রুক্মিণীর কথা একটু আগে উঠল, তাই। রুক্মিণী না থাকলে এই ছবিটা এত ভাল করে হত না। ও কিন্তু প্রথম দিন থেকে এই ছবির সঙ্গে আছে। বাকিদের মতো গত কয়েকদিন রুক্মিণীও একটাই প্রশ্ন করেছে, ‘তুমি খুশি তো’? ও জানে, এই ছবির পিছনে আমার ইগো, সম্মান, জেদ, লড়াই— সব উজাড় করে দিয়েছি। বাকি সব কিছু ভুলে গিয়েছিলাম। জানি না আপনারা বুঝতে পারছেন কি না।