প্রিয়ঙ্কা চোপড়া দেশে ফিরতে যে সিদ্ধান্ত নেন তাঁর বাবা। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বসুন্দরীর তকমা জিতেছিলেন ২০০০ সালে। তার বছর তিনেক পরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার। নারীপ্রধান ছবির জোয়ার যখন আসছে বলিউডে, তখন একের পর এক ছবিতে অভিনয়ের জোরে প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজেকে। তা সত্ত্বেও নাকি একাধিক বার নিজের গায়ের রঙের জন্য কথা শুনতে হয়েছে প্রিয়ঙ্কাকে। নায়িকাসুলভ না হওয়ার জন্য নানা কথা শুনতে হয়েছে। তবে শুধু বলিউডে নয়, আমেরিকায় পড়াশোনা করতে গিয়েও গায়ের রং নিয়ে অপদস্থ হন অভিনেত্রী। ভারতে ফিরতেই একেবারে অন্য মূর্তি ধারণ করেন অভিনেত্রীর বাবা অশোক চোপড়া। বাড়ির জানলায় বসান লোহার গ্রিল! এমনকি, ঢিলেঢালা পোশাক পরার নিদানও দিয়েছিলেন অভিনেত্রীর বাবা।
সকলেরই প্রায় জানা, প্রিয়ঙ্কা তাঁর বাবার কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বাবা অশোক চোপড়ার মৃত্যুর পর ‘ড্যাডি়’স লিটল গার্ল’ লেখা ট্যাটু করান। যে কোনও সাফল্যে মিস করেন বাবাকে। তবু কিশোরী প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে একেবারে কড়া আচরণ করেন অভিনেত্রীর বাবা। এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা জানান, একটি ছেলে তাঁদের বাড়ির বারান্দায় উঠে পড়েছিলেন। তার পর থেকে তাঁর বাবার আতঙ্ক বাড়ে। এই ঘটনার পর তাঁকে ঢিলে পোশাক পরতে বলা হয়। জিন্স-টপ ছেড়ে চুড়িদার পড়তে বলা হয়। স্বাধীন ভাবে চলাফেরার ক্ষেত্রেও ছিল নিষেধ। একা ছাড়া হত না তাঁকে। সর্বক্ষণ এক জন ড্রাইভার থাকতেন তাঁর সঙ্গে। সেই সময় বাবার ব্যবহারে অবাক হয়ে যান অভিনেত্রী। যদিও পরে বাবার দুশ্চিন্তা বুঝতে পারেন।
এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত তারকা প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। বলিউড থেকে হলিউডে উড়ান। যদিও বিদেশের মাটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সময় লেগেছিল প্রায় ১০ বছর। তবে হার মানেননি তিনি। বর্তমানে হলিউডের অন্যতম নামকরা ওয়েব সিরিজ় সিটাডেল-এর মুখ্য চরিত্রে তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy