যাঁরা ভাল ছবি ভালবাসেন, তাঁদের ‘অঙ্ক কী কঠিন’ ভাল লাগবে। ছবিমুক্তির আগে আনন্দবাজার ডট কমের কাছে এমনই আশা প্রকাশ করেছিলেন ছবির পরিচালক সৌরভ পালোধি। তাঁর আশা কিছুটা সফল। পাঁচ দিন পরেও নন্দনের দুপুরের শো-তে ৫০ শতাংশ হলভর্তি দর্শক ছিল, তাঁকে জানিয়েছেন প্রেক্ষাগৃহের লাইটম্যান পরেশ। “ইউটিউব-সহ একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে ছবির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোথাও পুরো ছবিটাই। ফলে, সেখানেই দেখে নিচ্ছেন দর্শক। হলে আর আসছে না”, অভিযোগ ছবির প্রযোজক রানা সরকারের। তিনি আরও জানিয়েছেন, পাইরেসি হলেও দর্শকদের মুখে মুখে ছবির কথা ছড়াচ্ছে। ব্যবসাও বাড়ছে। তিনি তাই দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে এসে ছবি দেখার অনুরোধ জানাচ্ছেন।
পাইরেসি থামাতে কী পদক্ষেপ করছেন প্রযোজক-পরিচালক? মঙ্গলবার তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন সাইবার অপরাধদমন শাখার কমিশনারের কাছে। আনন্দবাজার ডট কমকে প্রযোজক আরও জানিয়েছেন, নন্দন আর রাধা স্টুডিয়ো ছাড়া কোনও সিঙ্গল স্ক্রিনে ছবিটি মুক্তি পায়নি। সমস্ত মাল্টিপ্লেক্সে একটি করে শো নিয়েছেন। তার পরেও কী করে পাইরেসি হচ্ছে বুঝতে পারছেন না! কেন সিঙ্গল স্ক্রিনে ‘অঙ্ক কী কঠিন’ মুক্তি পায়নি? প্রশ্ন রাখতেই রানার যুক্তি, “কম বাজেটের ছবি। সেই অর্থে তারকাখচিত নয়। তাই দিইনি। ফলাফল ভাল করলে তখন বিষয়টি নিয়ে ভাবব।”
আরও পড়ুন:
সোমবার, সপ্তাহের পয়লা দিন ছবির ‘অ্যাসিড টেস্ট’-এর দিন। পরিচালকের দাবি, “নন্দন ছাড়াও সাউথ সিটি আইনক্সেও ভাল চলেছে। দর্শকাসন প্রায় ভর্তি। শুক্রবারের চেয়ে সোমবার বেশি ভাল ফল করেছে। আমি আশাই করিনি।” সৌরভ তাই ছবির সাফল্য ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তিনি সব প্রেক্ষাগৃহে ঝটিতি সফর সারছেন। নিজের চোখে দেখছেন, ছবি দেখে বেরিয়ে দর্শকদের মুখে স্মিত হাসি। “আমি পরিচালক, জানতে পেরে নিজেরাই এগিয়ে আসছেন। কথা বলছেন। প্রশংসা করছেন। শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন শিশুশিল্পীদের।” তাঁর মতে, ছবি তৈরির পর দর্শকদের এই আশীর্বাদটুকুই চান প্রত্যেক পরিচালক। সৌরভ দেখেছেন, দর্শক খুশি হলে নিজে থেকেই বাণিজ্য বাড়ে।