রণবীর সিংহের জন্মদিনে মুক্তি পেয়েছে তাঁর আগামী ছবি ‘ধুরন্ধর’-এর প্রথম টিজ়ার। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিনেতার কয়েক লক্ষ অনুরাগী প্রথম ঝলক দেখেছেন। প্রত্যেকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এর পরেই শুটিংয়ের বেশ কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন ছবির শিল্প নির্দেশক সাইনি জোহরভ। তিনি জানিয়েছেন, শুটিং করতে করতে গুরুতর জখম হয়েছেন রণবীর। তার পরেও শুটিং বন্ধ করেননি! পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন, ছবিতে পাকিস্তানের পরিচিত অলিগলি দেখা যাবে।
সম্প্রতি পহেলগাঁও-কাণ্ডের পর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। দুই দেশের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বন্ধ। এ দেশে নিষিদ্ধ পড়শি অভিনেতারা। তাঁদের সমাজমাধ্যমও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতে।
তার পরেও কী করে পাকিস্তানের কিছু অংশ দেখা যাবে আদিত্য ধর পরিচালিত ‘ধুরন্ধর’ ছবিতে?
এখানেই তাঁর কেরামতি দেখিয়েছেন শিল্প নির্দেশক সাইনি। একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, পরিচালক হিসাবে আদিত্য ভীষণ খুঁতখুঁতে। কাজের সঙ্গে কোনও আপোস করতে রাজি নন তিনি। তাই সাইনির উপরে নির্দেশ ছিল হয় এ দেশে, নয় বিদেশে পাকিস্তানের নিখুঁত সেট তৈরি করতে হবে। পরিচালকের এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলেন শিল্প নির্দেশক। তিনি ইউটিউব থেকে ভিডিয়ো সংগ্রহ করেন। খুঁটিয়ে পড়েন পুরনো কিছু সংবাদপত্র। এ সব থেকে পাকিস্তানের রাস্তাঘাটের বর্ণনা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হন। এ দিকে বর্ষাকালে মুম্বই জলমগ্ন। ভারী বর্ষণে শুটিং আটকে যায় যখন-তখন। ফলে, এখানে সেট তৈরি করে শুটিং করলে যে কোনও সময় তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, তাইল্যান্ডে গিয়ে সেট তৈরি করবেন। পরিচালককে জানাতেই তিনি রাজি।
এর পর বিদেশে ৬ একর জমির উপরে ‘পাকিস্তান’ গড়ে তোলেন সাইনি, যা ক্যামেরায় একটুও নকল বলে মনে হয়নি কারও! ১৫ জন সহকর্মীকে নিয়ে রোজ ১২ ঘণ্টা খেটে এই সেট তৈরি করেছিলেন তিনি।
সেই সেটে শুটিং করতে গিয়েই আহত হয়েছিলেন রণবীর। তবে নায়ককে প্রতি মুহূর্তে সাহায্য করেছিলেন ছবির পরিচালক। তিনি পাশে থাকায় নায়কও নিজেকে শুটিংয়ের সময় উজাড় করে দেন। ছবির শুটিং হয়েছে ৬০ দিন ধরে।