একের পর এক পঞ্জাবি ছবিতে অভিনয় এবং ছবিমুক্তি। সলমন খানের ‘বিগ-বস ১৯’-এ প্রতিযোগী হিসাবে যোগদানের সম্ভাবনাও নাকি তৈরি হয়েছিল। এত কিছুর পরেও রাজ কুন্দ্রা অর্থনৈতিক অপরাধদমন শাখার (ইকনমিক অফেন্সেস উইং) হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন কই? খবর, ৬০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত রাজকে সোমবার ইওডব্লিউ-র দফতরে হাজিরা দিতে হবে।
১০ সেপ্টেম্বর ইওডব্লিউ-র তরফ থেকে সমন পান রাজ। তাঁকে সংস্থার অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সেই সময় তাঁর আইনজীবী সংস্থার কাছে কিছু সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। আবেদনে জানানো হয়, ব্যক্তিগত কারণে রাজ সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তকে হাজিরা দিতেই হবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অপরাধদমন শাখা শিল্পা শেট্টী এবং রাজ কুন্দ্রার ভ্রমণের নথি পরীক্ষার পর তাঁদের বিরুদ্ধে ‘লুকআউট নোটিস’ জারি করে।
আরও পড়ুন:
৬০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মামলাটি শুরু হয় ২০২৫ সালের অগস্টে। জুহুর বাসিন্দা এবং অর্থলগ্নি সংস্থার কর্ণধার দীপক কোঠারি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তারকাদম্পতির বিরুদ্ধে। কোঠারির অভিযোগ, শিল্পা এবং রাজ তাঁদের সংস্থা থেকে বিনিয়োগের অজুহাতে ৬০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, যা তাঁরা সুদসমেত ফেরত দেননি। অভিযোগ, সেই টাকা ব্যক্তিগত কারণে খরচ করেন শিল্পা-রাজ। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর অভিযোগকারী বিষয়টি নিয়ে তারকাদম্পতির নজর আকর্ষণের চেষ্টা করেন। যদিও তিনি ব্যর্থ হন। এর পরেই তিনি সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।