Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Randhir Kapoor

Randhir Kapoor: করিশ্মা-করিনার পড়াশোনা ও নিজের মদের খরচ জোগাতে রক্ত জল করা পরিশ্রম করেছি: রণধীর

করিশ্মার ১৪ এবং করিনার ৮ বছর বয়সেই তাঁদের বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মা ববিতা কপূরের সঙ্গে আলাদা থাকতেন করিশ্মা এবং করিনা।

করিশ্মা, ববিতা, করিনা এবং রণধীর

করিশ্মা, ববিতা, করিনা এবং রণধীর

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২১ ১৪:৫৩
Share: Save:

করিনা কপূর এবং করিশ্মা কপূর ছোট থাকাকালীন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে রণধীর কপূরকে। যদিও করিশ্মার ১৪ এবং করিনার ৮ বছর বয়সেই তাঁদের বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মা ববিতা কপূরের সঙ্গে আলাদা থাকতেন করিশ্মা এবং করিনা। তার আগে পর্যন্ত রণধীরের কথায়, তাঁর রোজগারেই সংসার চলত। সেই প্রসঙ্গেই তিনি এখনকার দিনের তারকাদের আর্থিক পরিস্থিতির সঙ্গে পাঁচ থেকে সাতের দশকের তারকাদের তুলনা করলেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণধীর বললেন, ‘‘আমাদের সময়ে বছরে মাত্র একটি ছবি করলে সংসার টানা কঠিন হয়ে দাঁড়াত। তার কারণ এখন তারকাদের কাছে ছবি ছাড়াও রোজগারের অনেক উপায় থাকে। বিজ্ঞাপন, বা কোনও এক সংস্থার এনডর্সমেন্ট, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুখ দেখানো— এ সব ছিল না আমাদের সময়ে। ছবিতে অভিনয় করে যা রোজগার করতাম আমি, সেই দিয়ে আমাদের পুরো পরিবারের খরচ চলত।’’ সেই প্রসঙ্গেই তিনি বললেন, করিশ্মা-করিনার পড়াশোনা, বাড়ির বৈদ্যুতিক খরচ, তাঁর স্ত্রীর বিভিন্ন খরচ এবং নিজের দামি মদের জোগানের জন্য রক্ত জল করা পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। তাই একটি বছরে একটি ছবি করলে পোষাত না।

রণধীরের আক্ষেপ, এই সময়ে যদি তিনি তরুণ থাকতেন, তবে একটি ছবি করলেই অনেক টাকা রোজগার করে ফেলতেন। তাঁর মতে, একটি ছবি করে আজ যা পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, আগেকার দিনের তুলনায় তা অনেক বেশি।

করিশ্মা এবং করিনার সঙ্গে মা ববিতা

করিশ্মা এবং করিনার সঙ্গে মা ববিতা

আগে এক বার রণধীর তাঁর ও ববিতার বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি বেশি মদ্যপান করতাম, রাত করে বাড়ি ফিরতাম বলে ববিতার সমস্যা হত। কিন্তু আমি ওর মতো করে জীবনযাপন করতে রাজি ছিলাম না। আমাকে আমার মতো করে মেনে নিতে পারেনি ববিতা। তাই আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আমাদের জন্য সুখকর হয়েছিল।’’

যদিও বছর কয়েক আগে একটি সাক্ষাৎকারে করিনা জানিয়েছিলেন, বিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর কপূর পরিবারের থেকেও কোনও রকম আর্থিক সাহায্য পাননি তাঁরা। করিনা বলেছিলেন, “আমার মা সব সময় কোনও না কোনও কাজ করতেন। একা আমাদের মানুষ করেছেন। মায়ের একটা রিয়্যাল এস্টেটের ব্যবসা ছিল। তার সঙ্গেই আরও অন্যান্য ছোট ব্যবসা ছিল। খুব কঠিন সময় গিয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE