বছরের অপেক্ষা শেষ। পঞ্চমীর সন্ধ্যা থেকে আলোর রোশনাইয়ে, দেবী দুর্গার আবাহনে মেতেছে দেশ। শনিবার ছিল রানি মুখোপাধ্যায়-কাজলের বাড়ির পুজোর উদ্বোধন। গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দেবীবরণ সারলেন দুই তারকা-কন্যা। এ বছর মুখোপাধ্যায় পরিবারের অন্যতম সদস্য অভিনেতা দেব মুখোপাধ্যায় নেই। তাঁকে স্মরণ করে চোখে জল সকলের।
বাঙালির উৎসব মানেই বঙ্গনারীর অঙ্গে লাল পাড় সাদা শাড়ি। কাজল-রানিও সেজেছেন সে ভাবেই। রানির সাদা শাড়িতে লাল ফুল। কাজল সোনালি টিস্যুর সঙ্গে লাল ব্লাউজ়ে ঝলমলে। এঁরাই এ দিন দেবীর আবাহনে ব্যস্ত। পর্দা সরতেই দেখা গেল, মঞ্চে বিশাল আকারের দেবীপ্রতিমা সাজানো। সামনে রাখা গোলাপের পাপড়ি। দুই বোন মিলে সেই পাপড়ি ছড়িয়ে দিলেন দেবীর উদ্দেশ্যে। গায়ে আঁচল জড়িয়ে প্রণাম সারলেন ভক্তিভরে।
দুই দিদি যখন দেবীর আবাহনে মগ্ন তখন প্রয়াত দেব মুখোপাধ্যায়ের পরিচালক ছেলে অয়ন মুখোপাধ্যায় মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে। এ বছর তাঁর কালাশৌচ। পরিবারের অবিবাহিত মেয়েরাও এ বছর একই কারণে পুজো থেকে দূরে। সর্বাণী, তনিশারা দেবীপ্রতিমার উদ্বোধন দেখতে দেখতে চোখের জল মুছছেন! একই ভাবে কেঁদে ফেলেছেন অয়নও। মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় দেব মুখোপাধ্যায় একাই একশো ছিলেন। পুজো, অতিথি আপ্যায়ন, ভোগ খাওয়ানো— একা হাতে সব সামলাতেন। তাঁর অভাব তাই বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছেন পরিবারের এই প্রজন্মের মনে।
দেবীর আবাহনে মগ্ন কাজল, রানি মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
শোক রানি-কাজলেরও। তাঁরা বিবাহিত। হিন্দু রীতি মেনে, পুজোর মঞ্চে উঠতে তাঁদের বাধা নেই। দেবীবন্দনা শেষ হতেই চোখে জল তাঁদেরও। মঞ্চের নীচে তখন সব ভাই-বোন একসঙ্গে। প্রত্যেকে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আবেগে ভেসেছেন। কাজল সকলের বড়। তাই নিজেকে সামলে তাড়াতাড়ি এগিয়ে গিয়েছেন ভাই অয়নের দিকে। পিতৃহারা ভাইয়ের চোখ মুছিয়ে আদরে ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে।