বলিউডে বিভিন্ন সময়ে মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির নায়কেরা পর্দায় নগ্ন হয়েছেন। সম্প্রতি রণবীর কপূরকেই দেখা গিয়েছিল ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে সেই তালিকা হাতে গোনা। যেমন অনির্বাণ ভট্টাচার্য ‘ঘ্যাচাং ফু’ ছবিতে এমন একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। যদিও ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি। এ ছাড়াও ‘পদাতিক’ ছবিতে কোরক সামন্তকে দেখা গিয়েছিল এমন একটি দৃশ্য। এ বার ‘দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ ছবিতে তেমনই এক সাহসী দৃশ্যে অভিনেতা ঋষভ বসু। শুধুই পশ্চাদ্দেশ প্রদর্শন নয়, ঋষভকে দেখা গিয়েছে পায়েল সরকারের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে, কখনও ঠোঁট-ঠাসা চুম্বনে। এমন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নেন অভিনেতা? সিন কোরিয়োগ্রাফি করতে কি আলাদা কোন টিম ছিল? আনন্দবাজার ডট কম-কে জানালেন ঋষভ।
আরও পড়ুন:
ছবিটার মুক্তি নিয়ে গত সাত-আট দিন ধরে টানাপড়েন চলেছে। স্টুডেন্ট্স ফিল্মের নামে আদতে একটা বাণিজ্যিক ছবি বানিয়েছেন ছবির নির্মাতারা, এমনটাই অভিযোগ ছিল ফেডারেশনের। ছবির মুক্তি আটকে যাওয়ায় ঋষভ নিজেও ফেডারশনের নিয়মকানুন নিয়ে সরব হন সমাজমাধ্যমে। যদিও সমস্ত জট কাটিয়ে অবশেষে মুক্তি পেল ‘দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’। ঋষভ স্বীকার করে নিয়েছেন, খানিক অভিমান থেকেই সেই সময়ে মনের ভাব প্রকাশ করে ফেলেছেন। তবে তিনিও এ-ও মানেন, টেকিনিশিয়ান ছাড়া অভিনেতারা কিছুই নন। ঋষভের কথায়, ‘‘চার বছরের অপেক্ষা ছিল ছবিটা নিয়ে। মাঝে অনেক ঝড়ঝাপটা বয়ে গিয়েছে। আমি সমাজমাধ্যমে কাউকে ছোট করতে চাইনি। আর যাঁরা টেকিনিশিয়ানদের হয়ে লিখেছেন, তাঁরা ঠিক লিখেছেন। যে কোনও ক্ষেত্রেই একটা নিয়মের প্রয়োজন রয়েছে। আর আমি যখন বিদেশে ঠান্ডায় শুট করছিলাম, সেই সময়ে এই টেকিনিশিয়ান দাদারাই আমার খেয়াল রেখেছিলেন।’’
চার বছর আগে, অর্থাৎ রণবীর কপূরকে বড়পর্দায় দেখার আগেই এই সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ঋষভ। বাণিজ্যিক ছবির নায়ক হয়ে এই ধরনের দৃশ্যে অনেকেরই ছুতমার্গ থাকে। কিন্তু ঋষভ সেই ধারণায় বিশ্বাসী নন। তাঁর কথায়, ‘‘আসলে এই ধরনের কাজ হলিউডে প্রতিনিয়ত হয়। শাহরুখ খান তাঁর প্রথম দিকে ছবিতে এমন দৃশ্যে কাজ করেছেন। এই সবটাই শিল্পের জন্য করা। একজন ফাইন আর্টিস্ট হয়ে ফাইন আর্টসের জন্য এটা আনন্দ দিয়েছে।’’ যদিও এই দৃশ্যে ঋষভকে একা নয়, পায়েল সরকারকেও দেখা গিয়েছে। বলিউডে এখন এই ধরনের অন্তরঙ্গ দৃশ্য শুট করার পরিচালক আলাদা রয়েছেন। এই ছবির ক্ষেত্রে অবশ্য তেমন সুযোগ হয়নি বলেই জানান ঋষভ। বরং এই দৃশ্যায়নের পুরোটাই তাঁর নিজের ভাবনা বলেই দাবি অভিনেতার।
ঋষভের কথায়, ‘‘আসলে আমি ‘শ্রীকান্ত’ করেছিলাম বলে একটা অভিজ্ঞতা ছিল এই ধরনের দৃশ্য কী ভাবে শুট করা হয় সেটা সম্পর্কে। আর প্রস্তুতি বলতে, এই শরীর প্রদর্শনের জন্য চেহারাটা সুঠাম রাখতে সাহায্য করেছিল কোভিড।’’ ঋষভ জানান, দর্শক আগেও তাঁকে অন্য অভিনেত্রীদের সঙ্গে পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখেছেন। তিনি কাজটা সুচারু ভাবে পারেন বলেই হয়তো প্রস্তাব পান। তাই চরিত্রের প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এমন দৃশ্যে অভিনয় করতে আপত্তি নেই তাঁর।