Advertisement
E-Paper

করিনা, দুই ছেলেকে নিয়ে লন্ডনে ঘুরছেন, এর মাঝেই ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হল সইফের!

সময়টা ভাল যাচ্ছে না সইফ আলি খানের। একটা বিপদ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেক বিপদ সঙ্কেত। এ বার হল বিপুল আর্থিক ক্ষতি!

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩৭
ফের কোন বিপদের মুখে পড়লেন সইফ-করিনা!

ফের কোন বিপদের মুখে পড়লেন সইফ-করিনা! ছবি: সংগৃহীত।

একের পর ঘটনা ঘটেই চলেছে সইফ আলি খানের জীবনে। বছরের শুরুতেই অভিনেতার বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা হয়েছিল। সে ঘটনার বীভৎসতা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে অভিনেতা। ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে আইনি লড়াই চলছিলই। এ বার সেই লড়াইয়ে হেরে গেলেন সইফ! যদিও এই রায় যখন বেরোয় সেই সময়ে দুই পুত্র ও স্ত্রী করিনা কপূরকে নিয়ে লন্ডনে ছুটি কাটাচ্ছেন অভিনেতা।

বেশ কয়েক বছর ধরেই পটৌদীদের মধ্যপ্রদেশের এই সম্পত্তি দখল নেওয়ার সিদ্ধান্তের উপর ছিল স্থগিতাদেশ। ২০২৪-এর ডিসেম্বরে হাই কোর্টের তরফ থেকে সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়। এমনিতেও এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফলে এ বার পটৌদীদের ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি দখলের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশ সরকারের কোনও বাধা রইল না। তাই নবাব মনসুর আলি খান পটৌদীর সম্পত্তির দখল যে কোনও মুহূর্তে নিতে পারে সরকার। এই জমির ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে বিক্রিও হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ভোপালের শেষ নবাব ছিলেন হামিদউল্লাহ খান। সইফ তাঁরই প্রপৌত্র। হামিদউল্লাহর কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন। এর পর থেকে পটৌদীদেরই অধিকার ছিল ভোপালের সম্পত্তির উপরে। কিন্তু এই জমি চলে আসে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর আওতায়। সেই আইনের ভিত্তিতেই এই জমি দখল করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। মূলত দু’টি দেশকে ‘শত্রু দেশ’ হিসাবে চিহ্নিত করে ভারত সরকার— পাকিস্তান ও চিন। সেই অনুযায়ী ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এ দেশে ‘এনিমি প্রপার্টি অ্যাক্ট, ১৯৬৮’ তথা ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ চালু করা হয়। সেই আইনে বলা হয়েছে, যে সব ব্যক্তি বা পরিবার পাকিস্তানে বা চিনে পাড়ি জমিয়েছেন, তাঁদের রেখে যাওয়া স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসাবে চিহ্নিত হবে। পরবর্তী কালে বেশ কয়েক বার এই আইনে সংশোধনী এনে এই ধরনের সম্পত্তিতে সরকারের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়।

২০১৭ সালে সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘শত্রু সম্পত্তি’গুলির প্রকৃত মালিক পাকিস্তান বা চিনে চলে যাওয়ার পর তাঁদের উত্তরাধিকারীরা এই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করতে পারবেন না। ‘শত্রু সম্পত্তি’ ভারত সরকারের অধীনে চলে আসবে এবং সরকারি অনুমোদন ছাড়া হস্তান্তর, বিক্রি বা বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। এই সম্পত্তির অধিকার পুর্নগ্রহণের আবেদন করেছিলেন সইফের পরিবার। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এখন অপেক্ষা পরবর্তী শুনানির।

Saif Ali Khan Kareena Kapoor Khan Sharmila Tagore Taimur Ali khan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy