কেউ কারও উপর কিছু চাপিয়ে দেন না, শাহিদের দাবি। ফাইল চিত্র
কোন চিত্রনাট্যে কাজ করবেন শাহিদ কপূর, তা-ও নাকি বলে দেন স্ত্রী মীরা রাজপুত! এ নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে অভিনেতাকে। তবে কি তাঁর নিজস্ব মতামত হারিয়ে গিয়েছে? স্ত্রী যা বলবেন, তা-ই শেষ কথা?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টা স্পষ্ট করলেন ‘হায়দর’ অভিনেতা। জানালেন, বাস্তব জীবনে প্রতিটি বিষয় যদি তিনি আর মীরা সমান ভাবে ভাগ করে নেন, তা হলে কাজের বিষয়ে মতামতও ভাগ করবেন, সেটিই তো স্বাভাবিক। কেউ কারও উপর কিছু চাপিয়ে দেন না, শাহিদের দাবি। বললেন, “আমরা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিই।”
২০১৫ সালের ৭ জুলাই ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান করে বিয়ে সেরেছিলেন শাহিদ আর মীরা। প্রথম সন্তান কন্যা মিশা। ২০১৬ সালে তাঁকে পৃথিবীতে আনেন দম্পতি। পুত্র জৈনের জন্ম ২০১৮ সালে। চার জনের সুখী পরিবারের বন্ধন অত্যন্ত নিবিড়। শাহিদ জানান, তাঁরা একসঙ্গেই যাবতীয় কাজ করেন।
চিত্রনাট্য নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাই মীরার সঙ্গে আলোচনা করেন শাহিদ। এ নিয়ে মীরার সঙ্গে তাঁর মতান্তরের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ব্যক্তিগত জীবনে তো রোজই মতান্তর হয়, চিত্রনাট্যের বিষয়ে মীরার ধারণা মেনেই কাজ করি।’’
এমনটাও নয় যে মীরা সামনে বসে সবটা বর্ণনা করেন। শাহিদের কথায়, ‘‘কেউ এটার ভুল ব্যাখ্যা করতে পারেন। ভাবতে পারেন, আগে শুধু শাহিদ চিত্রনাট্য পছন্দ করতেন, এখন মীরারও সে ব্যাপারে বক্তব্য থাকে। কিন্তু বিষয়টা এমন নয়।’’
অল্প বয়সে মীরা এসেছিলেন দিল্লি থেকে, তিনি কি শাহিদের নিজস্ব জগৎকে বুঝতেন? পরস্পরের সঙ্গে কি তখনও কি চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিতেন? জিজ্ঞাসা করা হলে শাহিদ বলেন, ‘‘ আমি সব সময় মীরার সঙ্গে সব কথা ভাগ করে নিই। আমার ধারণা, আর সব দম্পতির মতোই সারা দিনে বা সারা সপ্তাহে কিছুটা মুহূর্ত নিজেদের মতো করে কাটাতে চাওয়া, পরস্পরের পাশে বসে সঙ্গে কথা ভাগ করে নেওয়া জরুরি। দু’জন মানুষ যখন নিজের নিজের জগতে ব্যস্ত থাকে, তখন কথা ভাগ করে নেওয়ার পরিসর কমে আসে। পরস্পরকে বোঝার জায়গাটা হারাতে থাকে।’’
শাহিদ আরও বলেন, ‘‘ যদি এক জন আর এক জনের সঙ্গে গভীর ভাবে সংযুক্ত থাকে, তা হলে একটা গভীর বোঝাপড়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়। এ ভাবেই আমি মীরার সঙ্গে সব কিছু ভাগ করে নিই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy