E-Paper

শরণার্থী নিছক ‘নম্বর’ নয়, ‘যাদের দেশ বলে কিছু নেই’ মলাটবন্দি এ বার সেই ‘রিফিউজি’রা

অজানা কথাই ফুটে উঠেছে শতরূপা বসু রায়ের কলমে। ‘রিফিউজি’ নিয়ে গবেষণার তথ্য থেকে রূপ পেয়েছে একাধিক গল্প।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৫ ০১:৩৭
শতরূপার বই উদ্বোধন।

শতরূপার বই উদ্বোধন। —নিজস্ব চিত্র।

যাঁরা দেশ-বাড়ি ছাড়া তাঁদের সম্বল নেই কিছুই। পরিচিতি বলতে থাকে একটি সংখ্যা মাত্র। তাঁদের জীবন কেমন— তা অজানাই থাকে তথাকথিত সমাজের কাছে। সেই অজানা কথাই ফুটে উঠেছে শতরূপা বসু রায়ের কলমে। ‘রিফিউজি’ নিয়ে তাঁর গবেষণার তথ্য থেকে রূপ পেয়েছে একাধিক গল্প।

নেদারল্যান্ডসের ডাচ মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্সে ইংরেজি পড়ান শতরূপা। প্রায় দু’বছর ধরে তিনি গবেষণা করেছেন ‘রিফিউজি’দের নিয়ে। তাঁর উপলব্ধি, ‘শরণার্থীরা শুধুই রাজনীতির শিকার’। আর এই উপলব্ধি থেকেই তিনি লিখেছেন একাধিক গল্প। যা মলাটবন্দি হয়েছে ‘যাদের দেশ বলে কিছু নেই’ শিরোনামে।

সম্প্রতি অক্সফোর্ড বুক স্টোরে মোড়ক উন্মোচন হয় সেই বইয়েরই। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই শরণার্থীদেরও ভয়, স্বপ্ন, অনুভূতি ও প্রতিভা আছে। তবুও তারা যেন ‘নেই রাজ্যের বাসিন্দা’। গল্পে গল্পে ফুটে উঠেছে তাঁদেরই কথা। তাঁদের জীবন ভালবাসা, করুণা যেমন আছে তেমনই আছে অনিশ্চয়তা, বিশ্বাসঘাতকতা, ক্ষতি ও নানা কারণে মৃত্যু। ক্ষতবিক্ষত সেই সব কথার পাশাপাশি লেখিকার কলমে ফুটে উঠেছে ইতিবাচক দিকও। এই সব কাহিনি মানব সমাজকে দাঁড় করায় একটি আয়নার সামনে। সেখানে একই সঙ্গে ফুটে ওঠে অস্তিত্ব, সংগ্রাম ও মানবতা। শতরূপার এই বইয়ের গল্পগুলি থেকে ধারণা পাওয়া যাবে শরণার্থী, তাঁদের জীবন ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে।

‘যাদের দেশ বলে কিছু নেই’-এর মোড়ক উন্মোচন।

‘যাদের দেশ বলে কিছু নেই’-এর মোড়ক উন্মোচন। —নিজস্ব চিত্র।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন জহর সরকার, রবিন রায়, নমিত শাহ, সাঁকো বসু প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

New Book Inauguration

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy