১৯৭২ সালের ‘কাঁটা লাগা’ গানটি ২০০২ সালে রিমিক্স করেছিলেন ডিজে ডল। সেই ভিডিয়োয় প্রথম দেখা যায় শেফালি জ়ারিওয়ালাকে। সেই সময় তাঁর অভিব্যক্তি, বুকের ট্যাটু নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়। কিন্তু জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেও হঠাৎই অন্তরালে চলে যান শেফালি। নিজের ইচ্ছেয় কাজ কমিয়ে দিয়েছিলেন। নেপথ্যে ছিল এক জটিল রোগ। প্রায় ১৫ এই রোগ বহন করে চলতে হয়েছে শেফালিকে।
আরও পড়ুন:
‘মৃগী’ রোগে আক্রান্ত ছিলেন গায়িকা। যখন তখন খিঁচুনি উঠত তাঁর। তার পর কী ভাবে রোগমুক্তি ঘটল, তা-ও জানিয়েছিলেন নিজেই। শেফালি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “পনেরো বছর বয়সে আমি প্রথম মৃগীরোগে আক্রান্ত হই। প্রায় এক দশক এই রোগ বয়ে নিয়ে চলা একটা চ্যালেঞ্জ। ঘন ঘন মেজাজ বদল, উদ্বেগজনিত সমস্যা আমার স্কুলজীবন ও সামাজিক মেলামেশাকেও প্রভাবিত করেছিল। অসহায় লাগত, কোনও আশা দেখতে পেতাম না। আমার আত্মবিশ্বাসও খুব কমে গিয়েছিল।”
যত বয়স বাড়ল, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হল শেফালিকে। তাঁর কথায়, “ভুল সময়ে, ভুল জায়গায় এই রোগের চাপটা আমার মাথায় চেপে বসত। বিশেষ করে ‘কাঁটা লাগা’র পর যখন আমি মঞ্চে পারফর্ম করতাম, বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর ঘুরতে হত।” ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পান তারকা। যোগাভ্যাস করেই ফল পেয়েছিলেন তিনি, এমনই দাবি করেছিলেন শেফালি।
তিনি বলেন, “চিকিৎসা ইতিবাচক মনোভাব আমাকে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও যোগাভ্যাস আমাকে সাহায্য করেছে। গত পনেরো বছর আর মৃগীতে আক্রান্ত হইনি। মানসিক ভাবে আমি শক্তিশালী হয়েছি, শারীরিক ভাবেও। এখন সবচেয়ে ভাল সময় কাটছে।”