Advertisement
E-Paper

‘বাইরের চাকচিক্য দেখিয়ে অনেকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান’, গানের জগতে সৌন্দর্যের গুরুত্ব নিয়ে বললেন অন্বেষা

ছোট বয়সেই সঙ্গীতজগতে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অন্বেষা। কোঁকড়া চুল, মিষ্টি হাসি, মিতভাষী গায়িকার গানের অনুরাগী রয়েছে বহু। তবে সৌন্দর্য ও সাজগোজের জন্যেও তাঁর নাম উঠে আসে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ২১:১৭
সঙ্গীতজগতে সৌন্দর্যের গুরুত্ব নিয়ে বললেন অন্বেষা।

সঙ্গীতজগতে সৌন্দর্যের গুরুত্ব নিয়ে বললেন অন্বেষা। ছবি: সংগৃহীত।

সফর শুরু হয়েছিল গায়িকা হিসাবে। সেই সঙ্গে সঙ্গীত পরিচালনার কাজও করছেন। ইতিমধ্যে অভিনয়েও হাতেখড়ি হয়ে গিয়েছে অন্বেষা দত্তগুপ্তের। নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন, ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রস্তাব এসেছে বহু। ‘ফটোজেনিক’ হওয়ার কারণেই এমন সুযোগ এসেছে বার বার। গানের দুনিয়াতেও কি আজ সুন্দর মুখের গুরুত্ব বে়ড়েছে?

কিশোরবেলা থেকে সঙ্গীতজগতে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অন্বেষা। কোঁকড়া চুল, মিষ্টি হাসি, মিতভাষী গায়িকার গানের অনুরাগী রয়েছে বহু। তবে সৌন্দর্য ও সাজগোজের জন্যেও তাঁর নাম উঠে আসে। তবে অন্বেষার বক্তব্য, শুরুর দিকে নিজের চেহারা বা সৌন্দর্যের বিষয় নিয়ে তেমন ওয়াকিবহাল ছিলেন না তিনি। তাঁর কথায়, “আমি যখন বড় হচ্ছিলাম, তখন কিন্তু নিজের বাহ্যিক রূপ নিয়ে তেমন ওয়াকিবহাল ছিলাম না। অনেকেই ছোট থেকে নিজেকে কেমন দেখতে, সেই বিষয়ে অবগত থাকে। আমি কখনওই মাথা ঘামাইনি। আমি গানের দিকটা মজবুত করার চেষ্টা করতাম।”

এখনও সাদামাঠা সাজই পছন্দ অন্বেষার। রোজের জীবনে খুব সাজগোজ করেন না। তবে এখন ইন্টারনেটের যুগে বাহ্যিক রূপকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে মত অন্বেষারও। গায়িকা বলেন, “বাহ্যিক রূপ একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে ঠিকই। কিন্তু আমি মানুষ হিসাবে কেমন, তার সঙ্গে এর বিশেষ যোগ নেই। আর সৌন্দর্যের সংজ্ঞাও মানুষের কাছে ভিন্ন। কেউ ভাবেন, নাক-চোখ-মুখ নিখুঁত হলেই সুন্দর। তবে ভিতর থেকে কে কতটা ইতিবাচক, সেটাই আসল বলে মনে হয় আমার।” নিজেকেও নিখুঁত মনে করেন না অন্বেষা। তবে সৌন্দর্যের সঙ্গে খুঁতের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই মানেন। তাঁর স্বীকারোক্তি, “আসলে ভিতরটা সুন্দর হলেই তা বাইরে প্রতিফলিত হয়। অনেক গায়ক-গায়িকাই রয়েছেন যাঁরা তথাকথিত সুন্দর নন। কিন্তু তাঁরা তো যথেষ্ট সফল।”

দৃশ্যমাধ্যমে বাহ্যিক রূপকে গুরুত্ব দেওয়ার ভাল ও খারাপ দুই দিকই রয়েছে। খারাপটি হল, বাইরের চাকচিক্য দেখিয়ে অনেকেই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে, মত অন্বেষার। তাঁর কথায়, “বাইরের চাকচিক্য দেখিয়ে অনেকেই চটজলদি দৃষ্টি আকর্ষণ করে আজকাল। শ্রোতাদর্শকও অনেক সময় ভুলে যান, সেই মানুষটার আদৌ কোনও প্রতিভা আছে কি না। তাঁরাও বাইরেটা দেখেই ভেসে যান। তবে ভাল দিকও নিশ্চয়ই আছে।”

কিছু দিন আগেই সৌম্যজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হিন্দি ‘হামসাজ় দ্য মিউজ়িক’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। অন্বেষার বক্তব্য, “আমি তো ছোটবেলাতেও অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তবে অভিনয়টা এখনই হওয়ার ছিল। ভবিষ্যতেও অভিনয়ের কথা ভাবব। হয়তো আরও ভাল করে শিখে কাজটা করব।”

গান নিয়ে ব্যস্ততা লেগে রয়েছে অন্বেষার। গান লেখার কাজও চলছে তাঁর। ‘হ্যায় জুনুন’ নামে একটি সিরিজ়ের গানের কাজ করেছেন তিনি। অনুপম রায়ের সঙ্গেও একটি হিন্দি ছবির গানের কাজ করছেন গায়িকা।

Anwesha Dutta Anwesha Datta Gupta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy