ক্যানসারজয়ী অভিনেত্রী, স্তন ক্যানসারের তৃতীয় স্তর থেকে লড়াই শুরু করেছিলেন। তাঁর অভিনয়, মধুক্ষরা হাসি আর মোহিনী চাহনির প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন বহু বলি তারকাই। এই তালিকায় আরও এক তারকা রয়েছেন। তবে তিনি চলচ্চিত্র দুনিয়ার কেউ নন, বরং খাস রাজনীতির মানুষ। বাল ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরে। শোনা যায়, ভাইপোর রাজনৈতিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভেবে সোনালি বেন্দ্রেকে বিয়ে না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বাল ঠাকরে নিজেই। আসলে তত দিনে রাজ বিয়ে করে ফেলেছেন শর্মিলা ঠাকরেকে।
প্রায় ৩০ বছর পর সোনালির চোখের ইশারায় বাধ্য ছেলের মতো মঞ্চে উঠে পড়ছিলেন রাজ। নিমেষে ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়ো। অবশেষে সেই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে মুখ খুললেন সোনালি।
বর্তমান মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা দলের নেতা রাজ ঠাকরে। ২০০৬ সালে শিবসেনা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। জানা যায়, এক সময় তাঁর প্রেমে হাবুডুবু খেতেন রাজ। ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘মরাঠি ভাষা দিবস’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সোনালি। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজও। সোনালি সে দিন সবুজ পোশাকে ঝকঝকে। মরাঠি সাজ মেনে খোঁপায় ফুল জড়ানো। রাজ বেছেছিলেন নীল পাঞ্জাবি। মঞ্চে ওঠার আমন্ত্রণ পেতেই এগিয়ে যান অভিনেত্রী। হঠাৎ পিছনে নজর তাঁর। চোখের ইশারায় ডেকে নেন কাকে যেন! এর পরেই সোনালির সঙ্গে মঞ্চে উঠতে দেখা যায় রাজকে। পাশাপাশিই বসেন তাঁরা। দু’জনের মুখে খুশির হাসি। তার পর থেকেই যেন তাঁদের পুরনো প্রেমের খবর ফের উস্কে ওঠে।
আরও পড়ুন:
এ বার সেই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে সোনালি বলেন, ‘‘আমি রাজকে নয় আমার বোনকে ইশারা করছিলাম। যাঁরা ভিডিয়ো ছড়িয়েছেন, তাঁরা খুব ভাল রুচির পরিচয় দেননি।’’ পাশপাশি সোনালি এটাও স্পষ্ট করে রাজের সঙ্গে তাঁর পরিচয় রাজনীতিবিদের স্ত্রীর সূত্রের। তাঁর কথায়, ‘‘শর্মিলার মা ও আমার মাসি একে অপরের বন্ধু। আমার যখন ১০ দিন বয়স তখন ওঁর মা আমাকে দেখতে এসেছিলেন। তা ছাড়াও আমার দেওর, ননদদের সঙ্গে রাজের পরিবারের যোগাযোগ রয়েছে।’’
যদিও সোনালি এই সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নেন দীর্ঘ এত বছর ধরে চলে আসা গুঞ্জনের সত্যতা। রাজের যে সোনালির প্রতি ভাললাগা ছিল সেটা মেনে নেন অভিনেত্রী।