নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’-এ রাম হচ্ছেন রণবীর কপূর। চরিত্রের জন্য নিজের মধ্যে নাকি নানা বদল এনেছেন অভিনেতা। কিন্তু তাও রণবীরকে রাম হিসাবে মেনে নিতে নারাজ অনেকেই। একসময় গোমাংস খাওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তাই রামের চরিত্রে তাঁকে দেখতে চাইছেন না নিন্দকেরা। এ বার আধ্যাত্মিক গুরু সদ্গুরু রণবীরের হয়ে সরব হলেন।
সম্প্রতি ছবির প্রযোজক নমিত মলহোত্রের সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন সদ্গুরু জানান, রণবীরকে কটাক্ষ করা মোটেই ঠিক হচ্ছে না। নমিত বলেন, “অতীত থেকে বিষয় টেনে এনে মানুষ প্রশ্ন তুলছে, রণবীর কপূর কী ভাবে রাম হতে পারেন?” উত্তরে আধ্যাত্মিক গুরু বলেন, “অতীতে তিনি কিছু করেছিলেন বলে এই ভাবে বিচার করা মোটেই ঠিক নয়। বাস্তবেও ওঁকে রামের মতো হতে হবে, এমন প্রত্যাশা আপনারা করতে পারেন না। হতেই পারে, পরের ছবিতে তিনি রাবণ হলেন।”
রাবণের চরিত্রে অভিনয় করছেন দক্ষিণী তারকা যশ। সদ্গুরুর মতে, যশ খুবই সুদর্শন পুরুষ। এই শুনে নমিত বলেন, “যশ খুবই সুপুরুষ। দেশের অত্যন্ত প্রতিভাবান ও পছন্দের অভিনেতা তিনি। আমরা আসলে রাবণের একাগ্রতা, ভক্তি, গভীরতা-সহ নানা দিক তুলে ধরতে চাই ছবিতে।”
রণবীর রামের চরিত্রের জন্য নিরামিষ খাওয়া শুরু করেছেন বলে জানিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। এমনকি ধূমপান ছেড়ে দেন বলেও জানান তিনি। ৪০ পেরোনোর পরেই নাকি তাঁর জীবনে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু।
একসময় নিজেই গোমাংস খাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন রণবীর। ২০১১ সালের এক সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেছিলেন, “আমার পরিবার পেশোয়ারের। পেশোয়ারি খাবার তো সেখান থেকেই এসেছে। পাঁঠার মাংস, পায়া এবং গোমাংসের ভক্ত আমি। হ্যাঁ, আমি গোমাংস খেতে ভালবাসি।” এই মন্তব্যের জন্য কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তবে বিপরীত মতও রয়েছে। অনেকেই রণবীরের পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন, “অভিনেতা হিসেবে রণবীর কেমন সেটাই বিচার্য। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে কী খান, কী করেন, তা দিয়ে কিছু যায়-আসে না।”