সদ্য দুপুরের খাওয়া শেষ। কর্তা-গিন্নিতে দু’জনে কুজনে। কাউকে কিচ্ছু না জানিয়ে শহর ছেড়েছেন। উঠেছেন নির্জন পাহাড়ি অঞ্চলের এক ভূত বাংলোয়। সেই খবর পৌঁছে গিয়েছে আনন্দবাজার ডট কমের কাছে। এটা কি দ্বিতীয় মধুচন্দ্রিমা? প্রশ্ন শুনেই ছদ্মরাগ শ্রীময়ী চট্টরাজের কণ্ঠে। “কর্তার অল্পবয়সী বৌ। কোথায় জমিয়ে প্রেম করার সুযোগ করে দেবেন। উল্টে বাধা!” তার পরেই হেসে ফেলে বললেন, “আমাদের খবর কী লিখবেন? কৃষভির কথা লিখুন। মিমি চক্রবর্তীকে দারুণ পছন্দ। কখনও চোখ ঘুরিয়ে ইশারা করছে। কখনও দেখে হেসে গড়িয়ে পড়ছে! আমার তো দেখেশুনে মনে হচ্ছে, যদি ও ছেলে হত....!”
ফোনের ও পারে এ বার কাঞ্চন মল্লিকের দরাজ হাসি।
লাভার পাহাড়ি অঞ্চলে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার শীতের ভৌতিক ছবি ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল।’ মিমি চক্রবর্তী, সোহম মজুমদার, বনি সেনগুপ্ত, স্বস্তিকা দত্ত ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় কাঞ্চন মল্লিক, মানসী সিংহ, শ্রুতি দাস, রজত গঙ্গোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য, মঞ্চের উজান চট্টোপাধ্যায়, বিমল গিরি প্রমুখ। পরিচালনায় অরিত্র মুখোপাধ্যায়। কাহিনি ও অন্যতম চিত্রনাট্যকার জ়িনিয়া সেন। নিবেদনে নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এ খবর প্রথম জানিয়েছে আনন্দবাজার ডট কম।
“শুটিং দেখতে কাঞ্চনের সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে লাভা চলে এসেছি। স্বামীর সঙ্গ পাওয়া উপরি পাওনা। সমুদ্র দেখার পর এই প্রথম পাহাড়ে এল কৃষভি। দারুণ খুশি। খুব উপভোগ করছে”, বললেন শ্রীময়ী। এ দিন রাতে শুরু শুটিং। সকাল থেকে হোটেলেই আড্ডা জমিয়েছেন সকলে। সেখানে মিমির সঙ্গে প্রায় লেপ্টে রয়েছে কৃষভি। ছাড়তেই চাইছে না! শ্রীময়ী ভূত বিশ্বাস করেন? সপ্রতিভ গলায় বললেন, “মানুষ ভূতের থেকে সত্যিকারের ভূত অনেক ভাল। আমি খুশি মনে ওদের মুখোমুখি হতে চাই।”
দুপুরের মেনুতে এ দিন এলাহি আয়োজন। ঘি ভাত, ডাল, ভাজা, পনীর, পটলের তরকারি, ডিম, চাটনি, পাঁপড়। হোটেলের জানলা দিয়ে যখন তখন মেঘ ঢুকে পড়ছে, জানালেন কাঞ্চন-ঘরনি। এই রোদ এই বৃষ্টি। পাহাড়ে যা হয়। একটু দূরের দৃশ্য কুয়াশার চাদরে মাঝেমধ্যেই আবছা।