দেবের পাশে তাঁকে দেখলেই উন্মাদনায় দুলে উঠছে এই প্রজন্ম। যেন ১৪ বছরের ‘বনবাস’ কাটিয়ে ফিরছেন তাঁরা! দেব আর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। আসন্ন ছবি ‘ধূমকেতু’র সৌজন্যে আপামর বাঙালি পর্দায় ফের তাঁদের দেখার প্রত্যাশায়। এ সবের মধ্যেই নতুন গুঞ্জন। শুভশ্রীর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়কে!
শুধু দেখা নয়। তাঁরা উত্তর কলকাতার লাহা বাড়িতে একসঙ্গে বসে আড্ডা দিয়েছেন। পুজোর পরিকল্পনাও করেছেন!
খবর পেয়ে উপস্থিত আনন্দবাজার ডট কম। শুভশ্রীর সঙ্গে দুপুর থেকে উত্তর কলকাতায় ভাস্বর! কেন?
অভিনেতা খোলসা করলেন পুরোটা। বললেন, “গৃহস্থ বাড়িতে পুজোর আগে যেমন স্বামী-স্ত্রী বসে পরিকল্পনা করেন, কেনাকাটা সারেন, পোশাক ভাগ করে দেন— সে রকমই দৃশ্য সাজিয়ে বিজ্ঞাপনী ছবি তৈরি হচ্ছে। তাই লাহা বাড়িতে শুটিং। এখানে আমি আর শুভশ্রী সেই ভূমিকায়।” অর্থাৎ আপনি শুভশ্রীর স্বামী! প্রশ্ন শুনে থমকেছেন প্রথমে। জোরে হেসে ফেলেছেন তার পরেই।
শুভশ্রীর সঙ্গে প্রথম কাজ। দাম্পত্য দিয়ে শুরু! কেমন লাগল?
জানতে চাইতেই হাসি খেলল অভিনেতার মুখে। ভাস্বর জানালেন, ধারাবাহিক ‘গোধূলি আলাপ’-এর হাত ধরে প্রযোজক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। মাঝেমধ্যেই রাজ সেটে আসতেন। কথা বলতেন সকলের সঙ্গে। ভাস্বরের সঙ্গেও অনেক কথা হয়েছে তাঁর। “কিন্তু শুভশ্রীর সঙ্গে প্রথম কাজ। ফলে, একটু দ্বিধা মনে ছিলই। কিন্তু শুভ দায়িত্ব নিয়ে সেই দ্বিধা মুছে দিয়েছে। শুটের ফাঁকে আড্ডা দিয়েছে। খুব মিশুকে, ঠান্ডা মেজাজের।” হাসতে হাসতে রসিকতা করতেও ছাড়েননি। বলেছেন, “শুভ শান্ত মেয়ে। অল্প সময়ে দিব্যি সংসার সামলে নিয়েছে।”
এও জানালেন, নায়িকার এই আচরণই তাঁকে শট দেওয়ার সময় সহজ করে দিয়েছে। প্রত্যেকটা শটের আগেই কমবেশি আলোচনা করে নিচ্ছেন তাঁরা।
কৌতূহল নিয়ে বনেদি বাড়ির অন্দরমহলে পা রাখতেই চোখ গেল চারপাশে। গোটা বাড়ি আলো ঝলমলে। বড় বড় আর্ক লাইট ছড়ানো। প্রচুর লোকজন ব্যস্ত হয়ে আসছেন, যাচ্ছেন। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে কয়েকটি মেকআপ ভ্যান। ভাস্বরের পর্দার ‘ঘরনি’ শুভশ্রী স্নিগ্ধ পিচরঙা সালোয়ার-কামিজে। মেরুন রঙের পাঞ্জাবি পরেছিলেন ভাস্বর। পরের শটের ডাক পরতেই সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেলেন নতুন জুটি। যেতে যেতে ফের আলোচনায় মগ্ন।