জিতুর পাশে সুদীপ্তা চক্রবর্তী
অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’ ছবিতে তিনিই ‘অপরাজিত’ ওরফে সত্যজিৎ রায়। বাহ্যিক সাদৃশ্য ছিলই। সেই সাদৃশ্য আরও নিখুঁত রূপসজ্জাশিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর প্রস্থেটিক রূপটানে। অভ্যন্তরীণ মিল আনতে জিতু কমল নিজেই উদ্যোগী হয়েছিলেন। একাধিক ভিডিয়োয় সত্যজিৎ রায়ের দাঁতের পাটি খেয়াল করেছিলেন তিনি। যা তাঁর নেই। খামতি মেটাতে অভিনেতা সটান দাঁতের চিকিৎসকের কাছে। সেই খবর জিতুর স্ত্রী নবনীতা দাস জানাতেই প্রথম প্রকাশিত হয় আনন্দবাজার অনলাইনে। তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা তুমুল কটাক্ষের শিকার। টানা দু’দিন এই ঘটনা চলার পরে রবিবার সরাসরি প্রতিবাদ জানালেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘কুকুরের হাঁচি নিয়ে খবর হলে দোষ নেই! এক নবীন শিল্পী নিখুঁত হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেই সেটা নিয়ে খিল্লি?’’
সুদীপ্তা রবিবার সকালেও একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সেখানে টলিউডের অন্দরে একে অন্যের পা ধরে টেনে নামানোর কথা ছিল। ছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপেক্ষাকৃত ছোট অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকদের অকারণ কটাক্ষের প্রতি ধিক্কার। সুদীপ্তার দাবি, ‘‘জিতুর প্রতি এই অসভ্যতা খুব খারাপ লেগেছে। এক জনের সদিচ্ছাকে এ ভাবে টেনে নামানোর খুব দরকার? ওই জন্যই সকালে পোস্টটি করেছি।’’ রাতারাতি অভিনেত্রীর পোস্ট ভাগ করে নিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিরই বহু জন। এই পদক্ষেপ আশ্বস্ত করেছে তাঁকে। সুদীপ্তার কথায়, ‘‘বিনোদন দুনিয়ার বেশ কিছু পরিচিত মুখ আমার পোস্ট ভাগ করে নিয়েছেন। যা দেখে আমি আশান্বিত। তা হলে হয়তো আগামী দিনগুলো ততটাও খারাপ হবে না। আমার মতো আরও অনেকেই একই ভাবনা ভেবেছেন। এটাই ইতিবাচক দিক।’’
বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলেছিল জিতুর অভিনেত্রী স্ত্রী নবনীতার সঙ্গেও। তিনি স্বীকার করেছেন, খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই জিতু কটাক্ষে জর্জরিত। একই সঙ্গে এ-ও বলেছেন, ‘‘যা সত্যি সেটাই জানিয়েছি। এক জন শিল্পীর নিজেকে প্রমাণিত করার মরিয়া চেষ্টা সবার জানা দরকার। এতে কেউ কিছু বললেও কিচ্ছু করার নেই। জিতুর পরিশ্রম এতে মিথ্যে হয়ে যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy