৮০ বছর বয়সি লেখকের কলকাতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় দেহ। ফাইল ছবি।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ‘একেন’ চরিত্রের স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তের। পুলিশ সূত্রের দাবি, এমনটাই জানা গিয়েছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। বুধবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৮০ বছর বয়সি ওই লেখকের দেহ।
সার্ভে পার্ক থানা এলাকার এক বহুতলে থাকতেন সুজন। তাঁর ফ্ল্যাটে শোয়ার ঘরের মেঝেতে শৌচাগারের পাশে পড়ে ছিল দেহ। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এমনিতে আমেরিকাবাসী হলেও বেশ কয়েক মাস হল কলকাতার ফ্ল্যাটে এসে থাকছিলেন সুজন। মঙ্গলবারই শান্তিনিকেতন গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ পরিচারিকা এসে অনেক ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা খোলেননি। তার পর পরিচারিকা খবর দেন সুজনের শ্যালককে। তিনি এলে পুলিশ ডাকা হয়, ভেঙে ফেলা হয় ফ্ল্যাটের দরজা। তার পরেই শোয়ার ঘরে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁর নিথর দেহ।
সুজনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে লেখকের। মনে করা হচ্ছে, শৌচাগারে যেতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি, তার পরেই মৃত্যু।
শেষ ৫০ বছর ধরে আমেরিকায় থাকতেন সুজন। সম্প্রতি কলকাতায় এসে থাকতে শুরু করেন। আগামী বইমেলায় তাঁর নতুন বই প্রকাশ পাওয়ার কথা।
সুজন-সৃষ্ট একেনবাবুর হাত ধরেই মঞ্চ থেকে পর্দায় আসেন অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী। এখনও পর্যন্ত একেনবাবুর মোট ছ’টি সিজ়ন দেখানো হয়েছে। সব ক’টিই জনপ্রিয় হয়েছে। গোলগাল, হাসিখুশি, ভুল-বকা গোয়েন্দাকে খুব কম সময়েই আপন করে নিয়েছে বাঙালি।
সুজনের মেয়ে সায়ন্তনীও আমেরিকাবাসী এবং লেখিকা। স্ত্রীও লেখেন। একেনবাবুর পর আরও এক মহিলা গোয়েন্দা চরিত্র তৈরির কাজে মন দিয়েছিলেন সুজন ও তাঁর স্ত্রী। সেই গল্প কত দূর এগিয়েছিল, তা জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy