গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে অভিনেতার মৃত্যুর দিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে সিবিআই।রবিবার এইপুনর্নির্মাণের সময় সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল, সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং দুই পরিচারক। সুশান্ত কি আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়? সুশান্তের ঘরের খাট এবং ফ্যানের মধ্যেকার দূরত্ব ঠিক কতটা? যে কুর্তায় ফাঁস লাগিয়ে সুশান্তকে ঝুলতে দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা, সুশান্তের ওজন নেওয়ার ক্ষমতা কি আদপে সেই কুর্তার রয়েছে? ‘ডামি টেস্ট’-এর পর প্রাথমিক ভাবে কী জানাচ্ছে সিবিআই?
‘ইন্ডিয়া টুডে’র একটি এক্সক্লুসিভ রিপোর্টে সিবিআই সূত্র থেকে কী জানা যাচ্ছে, দেখে নেওয়া যাক—
সূত্র বলছে, সুশান্তের ফ্যান এবং বিছানার তোশকের মধ্যেকার দূরত্ব ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। সুশান্তের উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি। তোশক সমেত বিছানার উচ্চতা ১ ফুট ৯ ইঞ্চি। শুধুমাত্র তোশকের উচ্চতাই ৮ ইঞ্চি। সুশান্তের উচ্চতা বিচার করলে দেখা যাচ্ছে, ফ্যানের রড থেক সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ এবং তোশকের দূরত্ব মাত্র এক ইঞ্চি। এ বার প্রশ্ন হল, মাত্র এক ইঞ্চির ব্যবধানে কি আদৌ ফাঁস লাগানো সম্ভব? সিবিআই সূত্র বলছে, সম্ভব। তবে সুশান্ত নিজেই ফাঁস লাগিয়েছিলেন নাকি তাঁকে অচেতন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল তা এমস-এর ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দলটি অভিনেতার ভিসেরা এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরেই পরিষ্কার হবে বলে জানাচ্ছে সিবিআই।
আরও পড়ুন- সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ ও পরিচারক নীরজের বয়ানে ফারাক, ফের জেরা সিবিআইয়ের
· এর আগে সিদ্ধার্থ পিঠানি-সহ সমস্ত প্রত্যক্ষদর্শীই সংবাদমাধ্যম এবং পুলিশি জেরায় জানিয়েছিলেন, নিজের সবুজ রঙের কুর্তায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টও তাই বলছিল। সুশান্তের পাচক নীরজ জানিয়েছিলেন, ওই রকমের কুর্তা সাধারণত পুজো করার সময় পরতেন সুশান্ত। সুশান্তের মতো দীর্ঘকায় এবং আনুমানিক ৭০কেজি ওজনের এক ব্যক্তির দেহের ভার কি ওই সুতির কুর্তার পক্ষে নেওয়া আদপে সম্ভব? সিবিআই বলছে, ২০০ কেজি ওজন নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কুর্তাটির। এমনকি, কুর্তাটির ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে সুশান্তের গলায় যে পোশাকের সুতো পাওয়া গিয়েছে তা কুর্তার সুতোর সঙ্গে মিলে গিয়েছে। যদিও ফরেন্সিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের প্রধান সুধীর গুপ্ত ও তাঁর টিম রিপোর্ট দেওয়ার পরেই সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে সিবিআই।
· মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত হয়। সেখানকার ডাক্তাররা জানিয়েছেন মৃত্যুর ১০/১২ ঘণ্টা পর তাঁর ময়নাতদন্ত হয়েছিল। এ দিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সময়ের কোনও উল্লেখ ছিল না। কেন? খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
আরও পড়ুন- অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মহেশ ভট্ট? সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়
· সুশান্তের বাথরোবের (স্নান করার পোশাক) বেল্ট ছেঁড়া ছিল। কিন্তু কেন? প্রথমে কি তবে বেল্ট দিয়েই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সুশান্ত? তা নিয়েও তদন্ত করছে সিবিআই।
অন্য দিকে, আজই সিদ্ধার্থ এবং নীরজকে আবারও ডাকে সিবিআই। তাঁদের দু’জনের বয়ানে ফারাক নজরে পড়ায় আবার এই তলব বলে জানা যাচ্ছে। পাশপাশি জানা যাচ্ছে, আজ সমন পাঠানো হতে পারে রিয়া চক্রবর্তীকেও। আপাতত জেরা চলছে সিদ্ধার্থ-নীরজের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy