(বাঁ দিক থেকে) দর্শিল সাফারি ও আমির খান। ছবি: সংগৃহীত।
মাত্র একটা ছবি বদলে দিয়েছিল জীবন। ‘তারে জ়মিন পর’ ছবিতে ডিজ়লেক্সিয়া-আক্রান্ত ঈশান অবস্তির চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসেন দর্শিল সাফারি। ‘তারে জমিন পর’-এ অভিনয়ের সময় দর্শিলের বয়স ছিল মাত্র দশ। ছবিতে আমির খানের মতো অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দর্শিল। ওইটুকু বয়সে দর্শিলের অভিনয় দেখে তাঁকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন অনেকেই। তবে যা ভাবা গিয়েছিল, ততখানি মসৃণ হয়নি দর্শিলের যাত্রা। যে আমির খান তাঁকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছিলেন, পরে তিনিই আর কোনও কাজের সুযোগ দিলেন না কেন দর্শিলকে?
এই মুহূর্তে দর্শিলের বয়স ২৬ বছর। 'তারে জ়মিন পর' ছবির পর ২০১০-এ ‘বম বম বোলে’। ২০১২তে আবার তিনি ফিরে আসেন‘মিডনাইট চিলড্রেন’ এ। ডান্স রিয়্যালিটি শো ‘ঝলক দিখলা জা’তেও পারফর্ম করেছিলেন দর্শিল। সম্প্রতি একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায় তাঁর ‘ক্যাপিটাল এ স্মল’ নামের একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে যতখানি প্রতিষ্ঠা আশা করেছিলেন, ততটা প্রতিষ্ঠিত হতে পারেননি তিনি। তার কারণ হিসাবে কোভিডকেই দায়ী করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, বড় পর্দায় কাজের জন্য অনেক পরিচালক, প্রযোজকের সঙ্গে কথাবার্তা এগিয়ে গেলেও কোভিডের কারণে সব কাজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে যায়। কিন্তু আমির খান কখনও সাহায্য করেননি? দর্শিল বলেন, ‘‘আমাকে অনেকেই বলেন, কেন আমির খানকে ফোন করি না। আসলে এসব বিষয়ে আমি খুব লাজুক। আমি মনে করি, কোনও কাজ হওয়ার থাকলে এমনিই তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবেন। আমি মনে করি না, প্রতিষ্ঠিত হতে কারও হাত লাগবে মাথার উপর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy