সুমন-স্বস্তিকা। —ফাইল চিত্র।
প্রকাশ্যে কখনও নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি তাঁরা, আবার কখনও অস্বীকারও করেননি। একসঙ্গে সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন তাঁরা। সুমন মুখোপাধ্যায় এবং স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। স্টুডিয়োপাড়ার দুই পরিচিত নাম। এক জন বাংলা থেকে হিন্দি— দুই পরিসরেই চুটিয়ে কাজ করছেন। অন্য জন মজে আছেন নিজের পড়াশোনা, ছবি এবং নাটক নিয়ে। একটা সময় স্বস্তিকা এবং সুমনের সম্পর্ক ঘিরে বিস্তর আলোচনাও হয়েছে। সে সবই এখন অতীত। দু’জনেই নিজেদের জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন।
আলাদা হলেও তাঁদের বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে আগের মতোই। সেই প্রমাণ পাওয়া গেল স্বস্তিকার নতুন ফেসবুক পোস্টে। কাজের সূত্রে ইদানীং বেশির ভাগ সময়ে মুম্বইতেই থাকেন স্বস্তিকা। সুমনও এই সময়ে রয়েছেন মায়ানগরীতে। সেখানেই একে অপরের সঙ্গে দেখা হল তাঁদের। মুম্বইয়ের জ্যামে আটকে, অটোয় পাশাপাশি বসে থাকার মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দি করতে ভুললেন না স্বস্তিকা।
মুম্বইয়ের জ্যামে পুরনো বন্ধুত্বকে নতুন করে উদ্যাপন করলেন অভিনেত্রী। হাসিমুখে দু’জনের নিজস্বী পোস্ট করে স্বস্তিকা লেখেন, “মুম্বইয়ের যানজটের কোনও ভরসা নেই। বাড়ি থেকে গন্তব্যে পৌঁছনোর সময় যদি ২০ মিনিট দেখায়, কিছুটা এগিয়ে গিয়ে জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকলেও সেই ২০ মিনিটই দেখাবে।” মুম্বইয়ের এই যানজটে আটকে যখন অধৈর্য হয়ে পড়েন, তখন সুমনের ভাবনার প্রশংসা করেছেন স্বস্তিকা। তিনি বলেন, “সুমনের ভাবনা, তার শিল্পসত্তা অনেকের থেকে উচ্চ মানের।” সুমনের সঙ্গে অভিনেত্রীর বন্ধুত্ব বহু বছরের। তিনি লেখেন, “কথায় বলে কারও সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব সাত বছর টিকে যায়, তা হলে সে সম্পর্ক ছিন্ন হয় না। আমার প্রিয় মানুষ সুমন মুখোপাধ্যায়।”
নিজের কোনও সম্পর্ক নিয়েই কখনও লুকোছাপা করেননি স্বস্তিকা। কখনও পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কখনও আবার অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে শোনা গিয়েছে বিস্তর আলোচনা। কখনও সপাট জবাব দিয়েছেন, কখনও আবার থেকেছেন চুপ। তবে অনেক চর্চার পরেও তথাকথিত প্রাক্তনদের সঙ্গে আড্ডা দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। আপাতত সব বিতর্ক থেকে দূরে নায়িকা। মেয়ে অন্বেষা বড় হয়ে গিয়েছে। মেয়েকে ঘিরেই তাঁর জগৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy