ফেসবুকে ভক্তরা অনামিকাকেই ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছেন।
জানা গেল, লকডাউন উত্তরকালের শুটিং পর্বে ইতিমধ্যেই দু’দিন শুট করা হয়ে গিয়েছিল অনামিকার। কিন্তু আচমকাই তাঁর এলাকা কনটেনমেন্ট জোনের অধীনে চলে আসায় আপাতত তিনি গৃহবন্দি। এই অবস্থায় শুটিংয়ে আসা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। অগত্যা....
কিন্তু কোনও উপায় কি নেই? ‘‘আমি তো ছাড়তে চাইনি। এ রকম একটা অবস্থায় পড়ে গিয়েছি কী করব? আর তা ছাড়া আমি নিজেও জানি না চরিত্রটা আমি আদপে করছি কি না। আমি চ্যানেলকে কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। আই হ্যাভ মাই ওন নর্মস। সেটা যদি উভয়পক্ষ কথা বলে ঠিক করে নেওয়া যায়, তা হলে আবার কাজ করব’’, বললেন হিয়া। তবে ঠিক কী কী প্রস্তাব তিনি দিয়েছেন সে বিষয়ে মুখ খুলতে আপাতত নারাজ তিনি।
আরও পড়ুন: বিয়ের বাকি ছিল চার মাস, ঘর খুঁজছিলেন রিয়া-সুশান্ত?
ব্যক্তিগত জীবনেও যে বেশ টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, সে কথাও নিজমুখে স্বীকার করে নিলেন অনামিকা। বেশ কিছু দিন ধরেই প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছে, হচ্ছে মানসিক চাপও... অকপটে মেনে নিলেন তিনি। তবে তা সত্ত্বেও যে কাজ তিনি চালিয়ে যেতে চান তা বার বারই বলছিলেন অনামিকা।
তবে কাজের পাশাপাশি পরিবারের সুরক্ষার কথাও যে তাঁকে মাথায় রাখতে হবে বলছিলেন তা-ও। তা হলে এখন কী করণীয়? অনামিকার কথায়, ‘‘এই শুক্রবার আমার ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। এর পর আমি আমার যা যা বক্তব্য, তা প্রযোজনা সংস্থাকে মেল করব। এর পর তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই মতোই কাজ এগোবে। আমি কাজ করতে চাই, একই সঙ্গে আমি বাঁচতেও চাই।’’
আরও পড়ুন: মহেশ, একতার বিরুদ্ধে পর্ন স্টারকে সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ পায়েল রোহতগির, রাজনীতির রং সুশান্তের মৃত্যুতে?
এই যে ফেসবুক জুড়ে ফ্যানেদের উন্মাদনা, তাঁকে ফিরিয়ে আনার আকুতি... কী অনুভূতি হচ্ছে তাঁর? ‘‘আমি তো জানতামই না, আমাকে এত মানুষ ভালবাসেন। সাত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি। যা করেছি নিজের চেষ্টায়। যাঁরা আজ এ ভাবে আমাকে চাইছেন, ভালবাসছেন, তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি জানি না কী বলব তাঁদের! হিয়া সত্যিই ফিরতে চায় আপনাদের কাছে ... ’’ বলতে গিয়ে গলাটা কি হাল্কা কেপে গেল তাঁর?
যদিও গোটা ঘটনায় চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এখনও পর্যন্ত কিছু জানাননি তাঁরা।
অনামিকা কি ফিরবেন? উজান-হিয়ার সেই কেমিস্ট্রি কি আবারও মুগ্ধ করবে দর্শককে? নাকি দেখা যাবে নতুন মুখ? আপাতত অপেক্ষা শুক্রবারের।