মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ‘মানিকবাবু’ চন্দন সেন। খবর, টেলিসম্মান অ্যাওয়ার্ড থেকে প্রাপ্ত এক লক্ষ টাকা তিনি দান করেছেন বিভিন্ন খাতে। সেই প্রসঙ্গেই আনন্দবাজার ডট কম-কে তিনি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী সম্মানিত করলেন বলেই সাম্মানিক দানের সুযোগ পেলাম!”
শনিবার রাতে টলিউড তোলপাড়। আরও একবার সরকারি সাম্মানিক দান করেছেন পর্দা এবং মঞ্চের সফল অভিনেতা! অর্থ দান করেছেন যথাক্রমে ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধক পরিষেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠান, আরও একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান এবং আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদমঞ্চে।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদমঞ্চে সরকারি সাম্মানিক দান করতে ভয় করেনি অভিনেতার? এই কাণ্ডের বিরোধিতা করেই তো বাংলার একাধিক শিল্পী সরকারি কোপে!
আরও পড়ুন:
প্রশ্ন ছিল বড়পর্দার ‘মানিকবাবু’র কাছে। তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় মৃদু হেসে জবাব দিয়েছেন, “এর আগেও একবার একই সম্মান পেয়েছিলাম। সেই সময়ে উত্তরবঙ্গের চা বাগানের শ্রমিকদের প্রচণ্ড দুরবস্থা। নেপথ্য কারণ নিশ্চয়ই আপনারা ভোলেননি।” একটু থেমে যোগ করেছেন, “আমি প্রায় প্রতি দিন পথে নেমে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছি। তার ফলে, সরকারি হলে আমার নাট্যদলের নাটক মঞ্চস্থ করতে পারি না।” অথচ সরকারি সম্মান পেলেন! প্রসঙ্গ তুলতে জানালেন, হয়তো তাঁকে সরকারি সম্মান দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শিল্পী নিজে ক্যানসার আক্রান্ত। দীর্ঘ দিন ধরে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চলছে। পাশাপাশি, তাঁর নাট্যদল ‘অশোকনগর নাট্য আনন’-এরও অর্থের প্রয়োজন...। কথা ফুরোনোর আগেই চন্দনের পাল্টা যুক্তি, “সরকারি সম্মাননার অর্থ জনগণের। আমার কেমো চলেছে ওঁদের টাকায়। অনুরাগীরা তহবিল গড়ে চিকিৎসা করিয়েছেন! ওঁদের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা নেই?” চন্দন তাই জনগণের অর্থ জনগণকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন।