পুজোর আগে টানটান উত্তেজনা ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-কে ঘিরে। আর্য সিংহ রায়-অপর্ণা বসুর বিয়ে হবে কি, হবে না! আপাতত অনুরাগীদের এটাই বড় সংশয়। কিছুতেই তাঁরা প্রিয় নায়িকার বিপরীতে চিকিৎসক হিন্দোল মিত্রকে মেনে নিতে পারছেন না। তার প্রভাব পড়ছে সমাজমাধ্যমে। আর্য-অপর্ণার সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্য রোষের মুখে ‘অপর্ণা’ ওরফে দিতিপ্রিয়া রায়ের পর্দার মা-বাবা এবং কিঙ্কর!
সম্পর্কের এই টানাপড়েন যদিও ‘রেটিং চার্ট’-এ ভাল ফল করেছে। চলতি সপ্তাহে প্রথম পাঁচে উঠে এসেছে এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার এই ধারাবাহিক। এ দিকে জোর গুঞ্জন, হিন্দোলের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাবে অপর্ণার। আর্য ওরফে জীতু কমলের সঙ্গেই শেষ পর্যন্ত বিয়ে হবে তার। বিয়ে ভাঙার কারণ নিয়েও চর্চার অন্ত নেই। একদলের দাবি, হিন্দোলের নাকি আগে একটা বিয়ে ছিল। সেই বিয়ে লুকিয়ে অপর্ণাকে ফাঁদে ফেলেছিল সে। বিয়ের আসরে প্রথম বৌকে নিয়ে আসবে আর্য। দ্বিতীয় কারণ, অপর্ণা নাকি আর্যর সন্তানের মা! এ কথা প্রকাশ্যে আসতেই ভেস্তে যাবে বিয়ে।
এরকমই কিছু হচ্ছে নাকি? আনন্দবাজার ডট কম প্রশ্ন করেছিল অপর্ণার ‘মা’ সুচন্দ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছেন, “দুটোর কোনওটাই মনে ধরল না! তা ছাড়া, এরকম কোনও কারণের জন্য বিয়ে ভাঙবে না।” তা হলে কি অপর্ণা হিন্দোলকেই মেনে নেবে? সেটা ধারাবাহিক বলবে, জানিয়েছেন তিনি। যদিও কিছুটা হলেও ফাঁস করে দিয়েছেন ‘হিন্দোল’ ওরফে মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য। তিনি হাসতে হাসতে বলেছেন, “হিন্দোল-অপর্ণার বিয়ে হলে তো ধারাবাহিক শেষ! দর্শকও আমায় আস্ত রাখবেন না।”
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি, ধারাবাহিক ২০০ পর্ব পেরিয়েছে। শুটিংয়ের পর সেই আনন্দে ঢাক বাজাতে দেখা গিয়েছে সুচন্দ্রাকে। পাশে ‘পর্দার মেয়ে’ দিতিপ্রিয়া তালে তাল মিলিয়েছেন। এ দিনও পর্দার ‘জামাই’ অনুপস্থিত? ‘হবু শাশুড়ি’র মতে, “শুটিং শেষ হতে হতে রাত ১০টা বেজে গিয়েছিল। তার পর কেক কাটার অনুষ্ঠান শুরু হয়। জীতু হয়তো ক্লান্ত ছিল। তাই ইচ্ছা থাকলেও উপস্থিত থাকতে পারেনি।” এ-ও যোগ করেছেন, একা জীতু নন, আরও কয়েক জন উদ্যাপনে যোগ দিতে পারেননি। শুটিং শেষ হতেই তাঁরা চলে গিয়েছিলেন।